ঢাবির টিএসসিতে কাওয়ালি গানে হামলার প্রতিবাদ ছাত্রফ্রন্টের

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট  © সংগৃহীত ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসিতে ছিলছিলা ব্যান্ড আয়োজিত কাওয়ালি গানের অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের হামলা ও অনুষ্ঠান পণ্ড করে দেয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি রাজীব কান্তি রায় ও সাধারণ সম্পাদক সুহাইল আহমেদ শুভ এই ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

আরও পড়ুন: ঢাবিতে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে কাওয়ালি মিছিল

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হল ও ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। ভিন্ন মত ও দলের উপর হামলার ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক। টিএসসিতে এ ধরনের ঘটনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক চরিত্রের জন্য অশনি সংকেত। প্রশাসনের নাকের ডগায় একের পর এক হামলা সংঘটিত হচ্ছে অথচ বিচার হচ্ছে না কোনো ঘটনার। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই নির্লিপ্ততার সুযোগে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে সন্ত্রাসীরা।"

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ভাষা আন্দোলন কোনো ভাষা বা সংস্কৃতিকে ঘৃণা করতে শেখায় না। ভাষা আন্দোলনের প্রাণকেন্দ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উর্দু গানের আসর বসতে পারে না এই ফতোয়া তুলে যারা এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের উদ্দেশ্য ভিন্ন ও অসৎ। উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার মধ্য দিয়ে এই ভূখণ্ডের মানুষের উপর সাংস্কৃতিক আধিপত্য বিস্তার করে স্বৈরাচারী পাকিস্তানি শাষকগোষ্ঠী শাসন-শোষন বজায় রাখতে চেয়েছিল। কিন্তু ভাষা আন্দোলন আইয়ুব-মোনায়েম সরকারের সেই অপচেষ্টাকে রুখে দিয়েছিল। আজকের সময়ে স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ সরকার নানারকম দমন - পীড়ন ও নির্যাতনের মাধ্যমে শোষণ-লুন্ঠন বজায় রাখবার পায়তারা করছে। তৎকালীন সেই পাকিস্তানি শাসকগোষ্টী আর আজকের আওয়ামী লীগের মৌলিক চরিত্র এক ও অভিন্ন।"

আরও পড়ুন: কাওয়ালি শুরুর আগেই সাদ্দামের অনুসারীরা ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে‍: আয়োজক কমিটি

নেতৃবৃন্দ উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগকে প্রতিহত করার জন্য ছাত্র সমাজের প্রতি আহবান জানিয়েছেন এবং গতকালের টিএসসির ঘটনায় জড়িতদের অনতিবিলম্বে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

এর আগে গতকাল টিএসসিতে পায়রা চত্বরে আয়োজিত কাওয়ালি আসর ছাত্রলীগের হামলায় পণ্ড হয়ে যায়। পূর্ব নির্ধারত সময় বুধবার সন্ধ্যা আয়োজিত এ গানের আসরে ছাত্রলীগ হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠে। এ হামলার ঘটনায় অনুষ্ঠানে আগত শ্রোতা-দর্শক, আয়োজক ও সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন আহত হন।


সর্বশেষ সংবাদ