মোদীবিরোধী আন্দোলনে গ্রেফতার চারজনের জামিন মেলেনি

মহানগর দায়রা জজ আদালত
মহানগর দায়রা জজ আদালত   © ফাইল ছবি

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আগমনের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভাসানী অনুসারী পরিষদের এক মানববন্ধন থেকে গ্রেফতার বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের চার নেতার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছে আদালত।

আজ সোমবার (১৫ নভেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েস তাদের জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন।

আসামিরা হলেন- সংগঠনটির সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ন আহবায়ক ও সোহরাওয়ার্দী কলেজ শিক্ষার্থী রবিউল হাসান, ঢাকা কলেজ শাখার যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক করিম সোহাগ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আল আমিন এবং খিলগাঁও মডেল কলেজ শিক্ষার্থী ও ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মো: সজল মিয়া

আসামিপক্ষের আইনজীবী খাদেমুল ইসলাম জামিন আবেদন করেন। জামিন আবেদনের পক্ষে সোমবার শুনানি করেন ঢাকা আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি মাসুদ আহমেদ তালুকদার। আর রাষ্টেপক্ষে জামিনের বিরোধীতা করেন অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) ফরিদ আহমেদ। শুনানি শেষে তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়।

তবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি থেকে ঐ ৪ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি করে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘দেশের স্বার্থরক্ষার আন্দোলনেই তারা আজ অত্যাচারের শিকার। গত ২৭ মার্চ থেকে তারা জেলে বন্দি। তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে প্রায় ৮মাস। তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দেয়া হয়েছে।  মামলাটি হায়কোর্টে গড়ালেও তাদের জামিন মেলেনি। শুধু রাজনৈতিক কারণেই তাদের জামিন দেয়া হচ্ছেনা। মামলাটি হাইকোর্ট ঘুরে আবারও নিম্ন আদালতে এসেছে। এখানে তাদের জামিন হয়নি; আমরা আবারও হাইকোর্টে যাচ্ছি।’

আটক ৪ জনকে গ্রেফতার করে নির্যাতন করা হয়েছে অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, ‘নির্যাতনের শিকার হওয়ায় সজলের বাম চোখ দিয়ে পানি ঝরছে। সজল একজন কিশোর এবং আটক চারজনই শিক্ষার্থী। ইতোমধ্যে সজলের পরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে এবং বিধায় জেলে বসেই পরীক্ষা দিচ্ছেন সজল। আর এতে প্রচুর অর্থও ব্যয় হচ্ছে। অবিলম্বে তাদের  মুক্তি দেয়া হোক।’


সর্বশেষ সংবাদ