গুচ্ছ পরীক্ষা পরবর্তী অযৌক্তিক আবেদন ফি বাতিলের দাবি
গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা পরবর্তী আবেদনের জন্য নির্ধারিত অযৌক্তিক ফি বাতিলের দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সংগঠনের সভাপতি মাসুদ রানা ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে যবিপ্রবি ভর্তির জন্য আহবান করেছে। এতে এক ইউনিটে আবেদন করতেই ৬৫০টাকা লাগবে। বিজ্ঞানের ৪টা ইউনিট আছে, তাহলে ৪টায় কেউ যদি আবেদন করতে চায় তাহলে প্রয়োজন ২৬০০ টাকা। অথচ পরীক্ষা দেয়ার সময় ১২০০ টাকা নেয়া হয়েছিল। এখন আবার এই ফি কেন? আর এভাবে যদি বাকি ১৯টা বিশ্ববিদ্যালয়ও আবেদন ফি এর তালিকা দিয়ে দেয় তাহলে পরিস্তিতি কি দাড়াবে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, শিক্ষার্থীরা তো ভর্তি হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে তারপরও ভর্তি ফি নেয়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বাণিজ্যিক মানসিকতারই প্রকাশ। গুচ্ছ পরীক্ষা পদ্ধতি চালুর সময় বলা হয়েছিল- অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি- দৌড়ঝাঁপ, আর্থিক চাপ কমাবে এই পরীক্ষা পদ্ধতি। কিন্তু এমন ফি আদায়ের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী ও তার পরিবারকে আরো বেশি চাপের মধ্যে ফেলা হলো। করোনার এই সংকটে এবং দ্রব্যমূল্যের লাগামহীনতায় পরিবারগুলো যখন দিশেহারা তখন এরূপ সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মানবিক নয়। এর ফলে অনেকেই চান্স পেয়েও টাকার অভাবে আবেদন করতে না পেরে হতাশাগ্রস্ত হবেন। এমনিতেই শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিযোগিতার কারণে সমাজিক- মানসিক চাপে থাকেন। এর উপর এই অযৌক্তিক ফি এর বোঝা তাদের মানসিক চাপ আরো বাড়িয়ে তুলবে। এই সময়ে শিক্ষার্থীদের পাশে না দাঁড়িয়ে উল্টো অযৌক্তিক ফি আরোপ কোনমতেই গ্রহণযোগ্য নয়। শুধুমাত্র মানবিকতার কারণেই নয় অযৌক্তিকতার করণেই এই ফি প্রত্যাহার করা দরকার। এই ফি প্রত্যাহার করা না হলে নেতৃবৃন্দ আগামীদিনে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।
নেতৃবৃন্দ আগামী রোববার (৭ নভেম্বর) বেলা ১১ টায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেন।