ছাত্রদল নেতার স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে তরুণীর সংবাদ সম্মেলন

  © সংগৃহীত

ভালোবেসে বিয়ে করেছিল ছাত্রদল নেতাকে। প্রায় সাড়ে চার বছরের ভালোবাসার সম্পর্ককে স্থায়ী রূপ দিতে কাউকে না জানিয়ে বিয়ে করেছিলেন তারা। কিন্তু এখন আনুষ্ঠানিকভাবে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি চাইলে অস্বীকার করছেন ছাত্রদল নেতা।

এ ঘটনায় গত রবিবার (৩১ অক্টোবর) শরীয়তপুর ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অফিসে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ফাহরিন সুলতানা মাহিয়া (২৭) নামের ওই তরুণী।

মাহিয়া ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার চরসেনসাস ইউনিয়নের সিকদারকান্দি গ্রামের শহিদুল্লাহ হাওলাদারের মেয়ে। আর ইমরান খান (৩১) ভেদরগঞ্জ উপজেলার রামভদ্রপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ কার্তিকপুর গ্রামের শাহজাহান খানের ছেলে। তিনি ভেদরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মাহিয়া জানান, ২০১৬ সালে ফেসবুকে ছাত্রদল নেতা ইমারানের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে বন্ধুত্ব ও তাদের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে ২০২০ সালের ১৫ মে স্থানীয় কাজীর মাধ্যমে গোপনে তাঁরা বিয়ে করেন। মাহিয়ার পরিবার তাদের বিয়ের বিষয়ে জানলেও ইমরান তার পরিবারকে জানাননি। এরপর থেকে ইমরানের সঙ্গে তার গোপনে যোগাযোগ ও সম্পর্ক চলতে থাকে। এভাবে এক বছর কেটে গেলে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুষ্ঠান করে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে বাড়িতে নিতে ইমরানকে চাপ প্রয়োগ করেন মাহিয়া। কিন্তু সম্প্রতি ইমরান বিয়ে অস্বীকার করে তাকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করার পাঁয়তারা শুরু করেন।

মাহিয়া বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির নেতা বি এম মোস্তফাকে একাধিকবার বিষয়টি জানালে তাঁরা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। স্ত্রীর মর্যাদা পেতে আমি থানায় ইমরানের বিরুদ্ধে মামলা করব।

এ বিষয়ে ভেদরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইমরান খান বলেন, মাহিয়াকে বিয়ে করেছ ঠিক আছে। তার চরিত্র খারাপ, তাই তার সঙ্গে সংসার করা সম্ভব নয়। আর ইউপি চেয়ারম্যান বিপ্লব শিকদার বলেন, দুই পরিবার আমার কাছে আসলে ব্যাপারটি দেখব।


সর্বশেষ সংবাদ