হল সম্মেলনের ঘোষণায় ঢাবি ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বাস
অবশেষে দীর্ঘ পাঁচ বছর পর ঘোষণা করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রলীগের হল সম্মেলন। আগামী ২৮ নভেম্বর থেকে শুরু হবে ১৮টি হল ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলন। যার মাধ্যমেই নতুন নেতৃত্বে আসবে হল শাখা ছাত্রলীগের কমিটিতে। দীর্ঘদিন পর এই ঘোষণা আসায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে সংগঠনটির পদপ্রত্যাশী ও নেতাকর্মীরা।
গতকাল শনিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে এই ঘোষণা আসে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত ১৮টি হল ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলন আগামী ২৮ নভেম্বর থেকে অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে, দীর্ঘ সময় পর হলের বার্ষিক সম্মেলনের ঘোষণা আসার পর পদপ্রত্যাশী ও নেতাকর্মীরা আনন্দে উদ্বেলিত। হলে হলে সাংগঠনিকভাবে নিজেদেরকে তৈরি করতে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
দীর্ঘ পাঁচ বছর পর হল সম্মেলনের ঘোষণা অনূভুতি জানতে চাইলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের পদপ্রত্যাশী সাকিল আহমেদ বলেন, আমরা নিঃসন্দেহে আনন্দিত। কারণ উৎসবমুখর পরিবেশে দীর্ঘদিন পরে হল সম্মেলন হতে যাচ্ছে। হল ছাত্রলীগের সকল নেতাকর্মী উচ্ছল, প্রাণবন্ত। তাদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে হল সম্মেলন হবে এটা আমাদের প্রত্যাশা।
এক্ষেত্রে তাদের সাংগঠনিক প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের সাংগঠনিক প্রস্তুতি শতভাগ রয়েছে। হল সম্মেলন সফল করতে যতটুকু প্রস্তুতি নেয়া প্রয়োজন তার সবটুকুই আমাদের রয়েছে।
সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের পদপ্রত্যাশী মিলন খান বলেন, আমরা উচ্ছ্বাসিত। আপনারা জানেন যে দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর পর, সেই ২০১৮ সাল থেকে আমরা হলের ক্যান্ডিডেট হিসেবে আছি। এতদিন পরে হল সম্মেলনের ঘোষণায় আমরা সত্যিই অনেক আপ্লুত ও উচ্ছ্বাসিত। আমরা আশা করছি যারা হল কমিটি গঠন করবেন তারা সুন্দর ও সৃষ্টিশীল নেতৃত্ব বাছাই করবেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা নিয়মিত ছাত্রদের সাথে কথা বলছি। কার কি সমস্যা আছে খোঁজখবর রাখছি। সম্মেলনকে সফল ও উৎসবমুখর করতে যে ধরনের প্রস্তুতি নেয়া প্রয়োজন তার সবই নেওয়া হবে।
শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের পদপ্রত্যাশী রুবেল হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন পরে হল সম্মেলনের ঘোষণা দিলেও ছাত্রলীগের সকল নেতাকর্মী অনেক অনেক আনন্দিত। করোনা মহামারীর কারণে অনেক দেরি হয়ে গেছে কিন্তু তারপরও আমরা উচ্ছ্বাসিত, প্রাণবন্ত।
তাদের সাংগঠনিক প্রস্তুতি সম্পর্কে বলেন, ছাত্রলীগের রাজনৈতিক যত কর্মসূচি রয়েছে সে সকল কর্মসূচী ধারাবাহিকভাবে পালন করা হবে। হল সম্মেলন সফল করতে সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হবে।
এই হলের আরেক পদপ্রত্যাশী মো. কামাল জানান, দীর্ঘদিন পরে হল সম্মেলন হতে যাচ্ছে এতে আসলেই অনেক ভালো লাগা কাজ করছে। এর জন্য আমরা অনেকদিন অপেক্ষা করেছি।
সাংগঠনিক প্রস্তুতি বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা নিয়মিত রাজনৈতিক প্রোগ্রাম, কাজকর্ম করছি এবং ভবিষ্যতেও যা আছে তা করব। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ যেভাবে নির্দেশনা দেবে আমরা সেভাবেই পালন করব।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ২৭ নভেম্বর সর্বশেষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের হল সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এর ১৬ দিন পর ঘোষণা করা হয় সব হলের কমিটি। এছাড়া ২০১৮ সালের ২৯ এপ্রিলে সর্বশেষ সম্মেলন হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলন।
এই সম্মেলনের মাধ্যমে একই বছরের ৩১ জুলাই সনজিত চন্দ্র দাস সভাপতি ও সাদ্দাম হোসেন হন সাধারণ সম্পাদক। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এই কমিটির মেয়াদ এক বছর হলেও বর্তমানে তা তিন বছরের বেশি সময় পার করছেন শীর্ষ দুই নেতা।