নুরকে অব্যাহতি, মামুনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
কোতোয়ালি থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরসহ ৫ জনকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
কোতোয়ালি থানায় ধর্ষণ, ধর্ষণে সহযোগিতা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গত বছর একটি মামলা হয়। সেই মামলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে চার্জশিট দাখিল করা হয়। বাকি পাঁচ আসামিকে এ অভিযোগ থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।
সেই চার্জশিট গ্রহণ করে পাঁচ আসামিকে অব্যাহতি ও একজনের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন খাদেমুল ইসলাম ও সিরাজুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ট্রাইব্যুনালের পিপি নজরুল ইসলাম শামীম।
নুর ছাড়া অব্যাহতিপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন- ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম (২৮), নাজমুল হাসান সোহাগ (২৮), নাজমুল হুদা (২৫) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহিল বাকী (২৩)।
গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় ভুক্তভোগী ঢাবির এক শিক্ষার্থী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলায় ওই তরুণীকে অপহরণের পর পারস্পরিক সহযোগিতায় ধর্ষণ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হেয় প্রতিপন্ন করার অভিযোগ আনা হয়।
মামলায় ঘটনার দিনক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে ২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিট থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত। স্থান উল্লেখ করা হয়েছে কোতোয়ালি থানা এলাকার সদরঘাট হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট।
সেই মামলায় নাজমুল হাসান সোহাগকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত করে পৃথক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়, ওই মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ বিচারাধীন।
অপরদিকে মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৯(১) ধারায় হাসান আল মামুনকে অভিযুক্ত করে পৃথক চার্জশিট দাখিল করেন ডিবির পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান।
একই শিক্ষার্থী এ ছয়জনের নামে লালবাগ থানায়ও একটি মামলা করেন। সেই মামলাতেও হাসান আল মামুনকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করা হয়, যা বর্তমানে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ বিচারাধীন।