প্রতিমন্ত্রীর বাসার সামনে ছাত্রলীগ কর্মীর ধূমপান, নিষেধ করায় সংঘর্ষ
বরিশাল নগরীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৩ আগস্ট) রাত ৮টায় পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামিম এমপির বাসার সামনে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শোক দিবস উপলক্ষে নগরীর নবগ্রামে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামিমের বাসার সামনে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে সাজসজ্জা ও সভার প্রস্তুতি চলছিল। এ নিয়ে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা বেগম ভিলায় জড়ো হন। সন্ধ্যার পর ছাত্রলীগের এক কর্মী প্রতিমন্ত্রীর বাসার সামনে দাঁড়িয়ে ধূমপান করছিলেন। যুবলীগের কর্মী আনিস (৩২) ধূমপান করতে নিষেধ করায় দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায় ছাত্রলীগের ওই কর্মী তাঁর অনুসারীদের নিয়ে যুবলীগের আনিসের ওপর হামলা চালান।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনায় দুই পক্ষ লাঠিসোঁটা নিয়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, চেয়ার ভাঙচুর, বাসার ফটকে লাথি এবং সামনে সাঁটানো ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। সংঘর্ষে নগরীর বটতলা থেকে চৌমাথা এলাকা পর্যন্ত নবগ্রাম সড়কে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়। সংঘর্ষে আহত যুবলীগের মো. আনিস (৩০) নামের এক কর্মীকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
যুবলীগের নেতা মোস্তাফিজুর রানা বলেন, কর্মীদের মধ্যে সামান্য বিষয় নিয়ে মারামারি হয়েছে মাত্র। তাঁরা বিষয়টি মীমাংসার জন্য সবাইকে শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহামুদুল হক খান মামুন বলেন, স্থানীয় বিরোধে এমন ঘটনা ঘটেছে। ধূমপান করা নিয়েই তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায় মারামারি হয়েছে। তবে পরে দ্বন্দ্ব মিটে গেছে।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম বলেন, প্রতিমন্ত্রীর বাসার সামনে দুই পক্ষে সংঘর্ষ হয়েছিল। বিষয়টি সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কথা বলে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়েছে। তবে ওই ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। কিংবা কোনো পক্ষ থেকে অভিযোগও দেয়নি।