দাগ থেকে যদি ধারুণ কিছু হয়, তাহলে দাগই ভালো: নুর
নিজের সংগঠনের সংকট নিয়ে একটি মহল হাসাহাসি এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের সমন্বয়ক নুরুলহক নুর। রবিবার রাতে নিজের ফেসবুক পেজে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় নুর বলেন, যারা নুর-রাশেদের দ্বন্দ্ব দেখে পাশবিক অট্ট হাসিতে মেতে উঠেছিল তাদের মুখে ছাই পড়ুক।
নুর বলেন, তারা ভেবেছিল ছাত্র অধিকার পরিষদে ভাঙন ধরেছে তথা তরুণদের রাজনীতি ভ্যানিশ হয়েছে। এটা কখনো হতে পারে না। আমরা দেশ ও জাতির বৃহত্তরও স্বার্থে রাজনীতি করছি, ব্যক্তি স্বার্থে নয়।
তিনি বলেন, প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলেরই নানা ধরনের অভ্যন্তরীণ সংকট থাকে। কাজ করতে গেলে মতের পার্থক্য হতেই পারে। একটা পরিবারের মধ্যেও দ্বন্দ্ব থাকে। মা-ছেলে দ্বন্দ্ব, বাবা-মেয়ের দ্বন্দ্ব, স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দ্ব এ ধরনের ছোটখাটো সংকট তো পরিবারেও দেখা যায়। সেটাকে যারা যার জায়গা থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখে একটা অবস্থানে নিয়ে আসা হলো সমাধান। সেখানে আমাদের তো একটা রাজনৈতিক সংগঠন।
পড়ুন: নুর-রাশেদের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, পাল্টাপাল্টি অ্যাকশন
পড়ুন: দ্বন্দ্বের সমাধান হয়েছে: ছাত্র অধিকার পরিষদ
ভিডিও বার্তায় নুর বলেন, আপনারা দেখেন, আমাদের বয়সী তরুণরা কি করছে আর আমরা কি করছি। যেখানে আমাদের বয়সী তরুণরা চাকরি আর ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবছে সেখানে আমরা দেশের বৃহত্তরও স্বার্থ নিয়ে ভাবছি। দেশের মানুষ নির্যাতিত-নিপিড়িত। তাদেরকে নির্যাতন-নিপিড়ন থেকে মুক্ত করতে হবে। প্যাসিবাদের হাত থেকে মুক্ত করে দেশে গণতন্ত্র আইনে শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে হাতুড়ি-হেলমেট বাহীনির তাণ্ডব থেকে রক্ষা করতে হবে। আমরা এটা নিয়ে ভাবছি।
নিজেদের নতুন রাজনৈতিক দলের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, মানুষ হিসেবে আমরা যতটুকু চাপ নিতে পারি; তার চেয়ে অনেক বেশি চাপ আমরা নিচ্ছি। সুতরাং, সেখানে কাজ করতে গেলে নিজেদের মধ্যে মতবিরোধ, ভুল-ভ্রান্তি হতেই পারে। এটা সবচেয়ে ভালো একটা দিক, আমরা তর্ক-বিতর্ক আলোচনা-সমালোচনার পরেও বৃহত্তরও স্বার্থে এক এবং ঐক্যবদ্ধ থাকি। এটা গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। তর্কহীণ সমাজ নির্বোধের সমাজ। কাজেই গণতান্ত্রিক সমাজে তর্ক-বিতর্ক থাকবেই।
সংগঠনের সংকট নিয়ে একটি মহল সুযোগ নিতে চাইছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমাদের নিজেদের মধ্যে কোন সিদ্ধান্তে মতবিরোধ হয়েছে। সেটা নিয়ে আমাদের অনুসারীরা তাদের আবেগের জায়গা থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। সেটাকে কিছু মানুষ খুব রসালোভাবে প্রচার করেছে। তারা আমদের সম্পর্কে নানা ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করেছে।
তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে কোন বিরোধ নেই। দুই-একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের মাঝে মতবেদ তৈরি হয়েছে। পরে আমরা আমাদের দায়িত্বশীলরা বসে আলোচনার মাধ্যমে সুন্দর সমাধান করেছি। সার্ফ এক্সেলের বিজ্ঞাপনের মধ্যে যেটা বলা হয়ে থাকে, দাগ থেকে যদি দারুন কিছু হয় তাহলে দাগই ভালো। আমরা বলবো, এ তর্ক-বিতর্ক এবং আলোচনা-সমালোচনা মাধ্যমে যদি ভালো কিছু হয় তবে এটিই ভালো। এ তর্ক-বিতর্ক চলতে থাকুক।