০৪ জুলাই ২০২১, ০৮:৪২

নুর-রাশেদের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, পাল্টাপাল্টি অ্যাকশন

ছবিতে বামে মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন আর ডানে নুরুল হক নুর  © ফাইল ফটো

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার প্লাটফর্মকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের দুই কান্ডারি ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ও সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁনের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। তারা দুইজন একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ এনে নিজেদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ারও উদ্যোগ নিয়েছেন।

আরও পড়ুন: ‘বিভাজন তৈরি’র অভিযোগ নুরের, রাশেদ বলছেন- অব্যাহতি দিতে পারে না নুর

জানা গেছে, গত ২ জুলাই ডাকসুর সাবেক ভিপি, ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের সমন্বয়ক নুরুল হক নুর এক বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক রাশেদ খাঁনকে অব্যাহতি দেয়। অপরদিকে রোববার (৪ জুলাই) পাল্টা নোটিশে রাশেদ নুরুল হক নুরকে এই ঘটনায় কারণ দর্শাতে বলেন। এমনকি ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদে সমন্বয়ক নামে কোনো পদ নেই বলে দাবি করেন। এতে করে সংগঠনের দুই শীর্ষ নেতার দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। 

গত ২ জুলাই নুরুল হক নুর স্বাক্ষরিত ওই  নোটিশে বলা হয়, ২ জুলাই বাংলাদেশ ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের এক যৌথ মিটিংয়ে সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরষদের আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান ও যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সোহরাব হোসেনকে সাময়িকভাবে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো। একই সাথে কেন তাদেরকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না তার কারন দর্শাতে তদন্ত কমিটির কাছে যথাযথ ব্যাখা প্রদান করার অনুরোধ করা হলো।

এতে আব্দুজ জাহেরকে তদন্ত কমিটির প্রদান করে একটি কমিটি গঠিত হয়। কমিটির বাকী সদস্যরা হলো- আবু হানিফ, ঝুনু রঞ্জন দাস, আব্দুর রহমান, মঞ্জুর মোর্শেদ মামুন।

অপরদিকে, রোববার (৪ জুলাই) মো. রাশেদ খান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের উল্লেখিত নোটিশের আলোচনায় কেন্দ্রীয় কমিটির অধিকাংশ নেতা অনুপস্থিত ছিলেন। তাই ঐই সভায় সাংগঠনিক কোন সিদ্ধান্ত হওয়ার এখতিয়ার কারো নেই।

পাশাপাশি বাংলাদেশ ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদে ‘সমন্বয়ক’ কোন পদই নেই। তাই বাংলাদেশ ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের নামে সমন্বয়ক পদ ব্যবহার করে কেন্দ্রীয় কমিটির বিলুপ্তির ঘোষণাকারীর বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে না তা আগামী ৭ দিনের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্র অধিকার পরিষদের সকল বিশ্ববিদ্যালয়-জেলা-মহানগর ও উপজেলা কমিটিকে বিভ্রান্ত না হয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে আহ্বানও জানানো হয়।