নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদলের সংঘর্ষ, আহত ২৫
রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের। এতে সংগঠনটির ২০ থেকে ২৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এ ছাড়া অন্তত ৮ জনকে পুলিশ আটক করেছে বলে অভিযোগ করেছে ছাত্রদল। অবশ্য পুলিশ জানিয়েছে, ৬ জনকে আটক করা হয়েছে।
ছাত্রদলের অভিযোগ, ময়মনসিংহে ছাত্রদলের আলোচনা সভা নিয়ে পুলিশ অতর্কিত হামলায় চালায়। এর প্রতিবাদে ঢাকায় মিছিল বের করা হলে পুলিশ ‘হামলা’ করে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন।
জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) বিকেলে ঢাকা মহানগর ছাত্রদল ঝটিকা মিছিল বের করতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে একত্রিত হন। এ সময় পুলিশ তাদেরকে বাধা দেন। পরে তা উপেক্ষা করে মিছিল বের করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ করে ইট-পাটকেল ছোড়ে।
এ বিষয়ে ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবন বলেন, ‘পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ছাত্রদলের ২০-২৫ জন আহত হয়েছে।’ আর সহ-সভাপতি আশরাফুল আলম ফকির লিংকন বলেন, ‘নয়াপল্টনে আমরা প্রতিবাদ মিছিল বের করলে পুলিশ পেছন থেকে অতর্কিত হামলা চালায়। পরে হামলার প্রতিবাদে আবার মিছিল করেছি।’
বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘ছাত্রদলের মিছিলে ধাওয়া করার পর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় পুলিশ ঘিরে রেখেছে। কেউ বের হলেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে পল্টন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিকী বলেন, ‘হঠাৎ ছাত্রদলের কর্মীরা পল্টনে রাস্তায় নেমে ভাঙচুর শুরু করে। অতর্কিতভাবে পুলিশ বক্সে হামলা ও গাড়িতে ভাঙচুর করে তারা। এছাড়া বিক্ষোভ মিছিল করেছে রাস্তায়। পরে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাদেরকে রাস্তা থেকে উঠিয়ে দেয় পুলিশ।’
তিনি জানান, পুলিশ রাস্তায় নামার পর তারা রাস্তা থেকে সরে যায়। এ ঘটনায় ৮ জন নয়, ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।