১৭ জুন ২০২১, ২১:১১

ইবি ছাত্রদলের নতুন কমিটি প্রত্যাখান একাংশের

লোগো  © ফাইল ছবি

প্রায় এক যুগ পর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি। নতুন কমিটি প্রত্যাখান করে কমিটি বাতিল চেয়ে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে পদপ্রত্যাশীরা। ওই সময়ের মধ্যে কমিটি বাতিল না করলে পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন তারা।

আজ বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) বিকেলে সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজসহ অন্যান্য পদপ্রত্যাশীরা এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন। এ নতুন কমিটি গঠনে অনিয়ম, পদপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারী, অছাত্রত্ব ও বিবাহের অভিযোগ তুলেছেন পদপ্রত্যাশী ও সংগঠনের সাবেক নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, ‘নতুন কমিটিতে যারা পদ পেয়েছে তাদের সিংহভাগ অপরিচিত। অধিকাংশই দলের মিটিং-মিছিলে উপস্থিত ছিল না। আমরা এই পকেট, সিন্ডিকেট ও লোক দেখানো কমিটি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে এই কমিটি বাতিল না করলে আমরা ১০ জন পদত্যাগ করবো।’

তারা বলেন, ‘নতুন কমিটির আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ ২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ২০০৮ সালে তার এক বান্ধবীকে পানির বোতলে প্রশাব ভরে খাওয়ান। সেই ঘটনার পর তার বান্ধবীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে এক বছর বহিষ্কৃত ছিলেন। ঘটনাটি স্বীকার করেছেন তিনি।’

এছাড়া, সদস্য সচিব মাসুদ রুমী মিথুনের ছাত্রত্ব নেই এবং তিনি বিবাহিত। সংগঠনের নীতিমালা অনুযায়ী অছাত্র ও বিবাহিতদের সংগঠনে ন্যূনতম সদস্য হওয়ারও যোগ্যতা নেই বলে অভিযোগ তাদের।

সম্মেলনে আনোয়ার পারভেজ বলেন, ‘খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি দল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সুপার ফাইভের সাথে বৈঠকে একমাত্র আমাকেই সদস্য সচিব প্রস্তাব করা হয়েছিল। আমার সঙ্গে অবিচার করা হয়েছে। পাশাপাশি ত্যাগী ও কারাবরণকারীদেরও বঞ্চিত করা হয়েছে। সাংগঠনিক অভিভাভক তারেক রহমানের কাছে আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’

সংগঠনটির আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ স্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার বান্ধবীর সাথে সংঘটিত ঘটনাটি ২০০৮ সালের। সেই ঘটনার সাথে রাজনৈতিক কোনো সম্পর্ক নেই। সেটি নিতান্তই বিভাগীয় বিষয়। আর আমি রাজনীতিতে ২০১০ সালে পদে এসেছি।’

বিবাহের বিষয় অস্বীকার করে সদস্য সচিব মাসুদ রুমী মিথুন সাংবাদিককের বলেন, ‘আমার উপর আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমাকে ফাঁসানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে। অভিযোগকারী দালিলিক প্রমাণ দিতে পারলে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করবো।’

প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার (১৬ জুন) লোক প্রশাসন বিভাগের ২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষের সাহেদ আহম্মেদকে আহ্বায়ক এবং ইংরেজি বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের মাসুদ রুমী মিথুনকে সদস্য সচিব করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় কমিটি। এরপর থেকে কমিটি নিয়ে নানা বিতর্কের সৃষ্টি হয়।