এডওয়ার্ড কলেজ অধ্যক্ষের অপসারণ ও গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ
প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. হুমায়ুন কবীর মজুমদারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার পরও তাকে কেন গ্রেফতার করে অপসারণ করা হচ্ছে না এই দাবি নিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৯ জুন) দুপুরে এডওয়ার্ড কলেজের অধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেন। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা।
এর আগে সোমবার (৭ জুন) বিকেলে সদর থানায় দুদক পাবনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে অধ্যক্ষের নামে মামলা করেন। মামলার পর থেকেই বিভিন্ন মহল ও শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষের অপসারণ দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে সাধারণ শিক্ষার্থীর মধ্যে বক্তব্য দেন সাদ্দাম হোসেন, জুনায়েদ আহমেদ, আশিকুল ইসলাম, সাইদুজ্জামান সজিব, মীর ওয়াকিল, সম্রাট, পিয়াস ও হৃদয় প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, দুর্নীতি মামলার আসামি অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবীর মজুমদারকে দ্রুত গ্রেফতার করে কলেজ থেকে অপসারণ করতে হবে। এটা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।
তারা আরও বলেন, সরকারি এডওয়ার্ড কলেজে এমন দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ এতদিন আমাদের অভিভাবক ছিল, এটা ভাবতেই লজ্জা লাগে। আমরা প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাই অতিদ্রুত এই দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষকে অপসারণ করা হোক।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুয়া আবেদন ও ভাউচারে অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবীর নিজেই অনুমোদন করে কলেজের ছাত্র সংসদ তহবিল, উন্নয়ন তহবিল ও বিবিধ তহবিলের ৫৬ লাখ ৮ হাজার ৯৮৬ টাকা অগ্রণী ব্যাংক কলেজ গেট শাখা থেকে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।
দুদকের পাবনার আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপপরিচালক মোজাম্মেল হক বলেন, অধ্যক্ষের ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির আরও বিভিন্ন বিষয়ে তদন্ত চলছে। মামলার প্রয়োজনে তাকে গ্রেফতারও করা হতে পারে।
অধ্যক্ষ প্রফেসর হুমায়ুন কবীর মজুমদার বলেন, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। একটি কুচক্রী মহল উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে দুদককে ভুল বুঝিয়ে আমাকে হেনস্থা করাচ্ছে। সঠিক তদন্ত করা হোক। আমাকে ফাঁসানোর জন্য ভাউচার সরিয়ে দুর্নাম রটানো হচ্ছে।