বাজেটের ২৫ শতাংশ শিক্ষায় বরাদ্দের দাবি ছাত্র ইউনিয়নের
ছাত্র ইউনিয়নের চট্টগ্রাম জেলা সংসদ জাতীয় বাজেটের ২৫ শতাংশ শিক্ষাখাতে বরাদ্দের দাবি জানিয়েছে। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি এ্যানি সেনের সভাপতিত্বে এক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক টিকলু দে, সহ-সাধারণ সম্পাদক খালিদ মিরাজ, কোষাধ্যক্ষ ড্যানি বিশ্বাস, স্কুলছাত্র সম্পাদক অয়ন সেনগুপ্ত, সদস্য এস এম নাবিল, কোতোয়ালি থানার সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, পাহাড়তলী থানা সংসদের সাধারণ সম্পাদক নিশান রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক দুর্বার দেবনাথ প্রমুখ। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন জেলার সাধারণ সম্পাদক ইমরান চৌধুরী।
ছাত্রনেতারা বলেন, আজ থেকে চল্লিশ বছর আগে ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশের শিক্ষার খাতে বরাদ্দ ছিল জিডিপির ১.১% আর ২০১৯ সালে বাংলাদেশের শিক্ষা খাতে বরাদ্দ ছিলো জিডিপির ১.৩% । চল্লিশ বছরে বরাদ্দ বেড়েছে বেড়েছে জিডিপির দশমিক দুই শতাংশ (০২)। এই চল্লিশ বছরে শিক্ষা খাতে সর্বোচ্চ গড় বরাদ্দ ছিল ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল এই সময়কালে, এমন নোরনও আহামরি বরাদ্দ নয়, সেটাও গড়ে জিডিপির ১.৭% । যুদ্ধ বিধ্বস্ত একটি দেশ আফগানিস্তানের শিক্ষা খাতে ১৯৭৫ সালে বরাদ্দ ছিলো জিডিপির ১.২% এবং বর্তমান আফগানিস্তানের শিক্ষা খাতে বরাদ্দ হচ্ছে জিডিপির ৪.১% । এই করোনায় লক্ষ শিক্ষার্থী শিক্ষা জীবন থেকে ঝরে পড়বে। তাদের ব্যপারে সরকারের নেই কোনো পদক্ষেপ৷ তাই আমরা শিক্ষা সংকট নিরসনে শিক্ষাখাতে ২৫ শতংশ বরাদ্দের দাবি জানাচ্ছি৷
বক্তারা আরো বলেন, আমরা জানি জাতিসংঘ ঘোষিত এমডিজির লক্ষ্যমাত্রা পূরণের অন্যতম শর্ত হলো শিক্ষাখাতে জিডিপির অন্তত ৬ শতাংশ অথবা মোট বাজেটের ২৫ শতাংশ বরাদ্দ নিশ্চিত করা। জাতীয় আয়ের ৬ ভাগ তো দূরের কথা, শিক্ষাখাতে জিডিপির ২ ভাগ বরাদ্দও গত ১২ বছরে নিশ্চিত করতে পারেনি। প্রযুক্তি ও অন্যন্য খাতে বরাদ্দকৃত বাজেটকে শিক্ষাখাতে যুক্ত করে বিশাল বাজেট প্রদর্শনের যে আইওয়াশ করা হয় তা জনগণের সাথে প্রতারণা। করোনার ভয়াল থাবা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে গেছে স্বাস্থ্য খাতের ভয়াল দশা। সামরিক খাতের পাহাড়সম বরাদ্দ কমিয়ে স্বাস্থ্য খাতেও পর্যাপ্ত বরাদ্দ নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। সমাবেশ থেকে বক্তারা সকল শিক্ষার্থী-শিক্ষক-কর্মচারীদের ভ্যাকসিন প্রদান করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানান।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে৷