ক্যাম্পাস খোলাসহ পাঁচদফা দাবি বশেমুরবিপ্রবি ছাত্র ইউনিয়নের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ৩০ মে ২০২১, ০৬:৪০ PM , আপডেট: ৩০ মে ২০২১, ০৬:৪০ PM
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাইকে ভ্যাক্সিনের আওতায় এনে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে অতিদ্রুত ক্যাম্পাস খোলাসহ পাঁচদফা দাবি জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) ছাত্র ইউনিয়ন। আজ রবিবার (৩০ মে) ছাত্র ইউনিয়নের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পিউলি মৃধা সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে করোনা পরিস্থিতিতে ক্যাম্পাস খোলার বিষয়ে ছাত্র ইউনিয়নের পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করেছে। সেগুলো হলো:
১. স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে অতিদ্রুত ক্যাম্পাস খুলে দিতে হবে,
২. দ্রুততম সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভ্যাক্সিনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
৩. বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়ন করতে হবে। শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের মানসিক সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতের লক্ষ্যে কনসাল্টেশন ব্যবস্থা করতে হবে
৪. করোনাকালীন এক বছরের বেতন- ফি মওকুফ করতে হবে।
৫. দ্রুততম সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাফেটিরিয়া চালু করতে হবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি রথীন্দ্র নাথ বাপ্পী ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল মিলন যৌথ বিবৃতিতে বলেন, করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ২০২০ সালের ১৮ মার্চ হতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রায় ১৫ মাস ধরে বন্ধ। কিন্তু বর্তমান সময়ে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যাংক, বাজার, অফিস-আদালত সকল প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে, কেবলমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে রাখা হয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষার্থীরা বাসার মধ্যে বন্দি থাকার ফলে তারা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাদের শিক্ষাজীবনের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যেরও অবনতি হচ্ছে। এমনকি এই মহামারীর ভেতর শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার হারও বেড়ে গিয়েছে। আমরা লক্ষ্য করেছি শিক্ষার্থীদের একটি বিরাট অংশ যাদের বিগত ১৫ মাসে শিক্ষাজীবন শেষ করে কর্মজীবনে প্রবেশ করার কথা তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই সকল শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাজীবন কিভাবে শেষ করবে এ বিষয়ে সরকারিভাবে সুনির্দিষ্ট কোনও দিকনির্দেশনা না থাকার ফলে তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে ক্যাম্পাস খুলে দেয়ার এবং দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কমকর্তা-কর্মচারীদের ভ্যাক্সিনের আওতায় নিয়ে আসার কোনো জোর উদ্যোগ আমরা লক্ষ করছি না।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম কোন রকমে জোড়াতালি দিয়ে চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ডিভাইস, প্রয়োজনীয় ডাটা ও শক্তিশালী নেটওর্য়াক ব্যবস্থা না থাকার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৬০% শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারে নাই। যার ফলে শিক্ষার্থীদের মাঝে বৈষম্যের সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া যেসব বিভাগের শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক জ্ঞানের প্রয়োজন তাদের অধিকাংশই ব্যবহারিক জ্ঞান ছাড়াই অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষাজীবন শেষ করছেন যা ভবিষ্যতে ঐ শিক্ষার্থীকে বিপদগ্রস্ত করবে । এর দায় সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনভাবেই এড়াতে পারে না।