ছাত্রদের মুক্তি দিতে প্রধান বিচারপতির কাছে চিঠি
মানবিক কারণে ঈদের আগে ছাত্র অধিকার পরিষদের আটককৃত ছাত্রদের জামিনে মুক্তির দাবিতে প্রধান বিচারপতির কাছে চিঠি দিয়েছে দেশের কয়েকজন বিশিষ্ট নাগরিক। বর্তমানে বিভিন্ন মামলায় সংগঠনটির অর্ধশতর বেশি নেতাকর্মী গ্রেফতার রয়েছে। চিঠিটি গত ৪ মে প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (৮ মে) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান বিচারপতির কাছে দেওয়া চিঠি তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান বিচারপতির কাছে দেওয়া চিঠি তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
চিঠিতে বলা হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, পেনাল কোডসহ বিভিন্ন আইনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সাবেক সমাজকল্যাণ সম্পাদক আখতার হোসেনসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের অর্ধ শতাধিক ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে। তাদের আদালতে হাজির করা হলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে আদালত তাদের পুলিশ রিমান্ডে পাঠিয়েছে। গ্রেফতারের পর পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে যেসব মামলার কথা বলেছে তা কয়েক মাস থেকে কয়েক বছরের পুরানো এবং মামলাগুলো রাজনৈতিক হয়রানির জন্য করা হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। দেশের করোনা পরিস্থিতি ও সামনের ঈদ, সর্বোপরি ন্যায়বিচারের স্বার্থে আমাদের সন্তানতুল্য এই ছাত্ররা অবিলম্বে জামিনে মুক্তি পাওয়ার অধিকারী বলে আমরা মনে করি। কিন্তু আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছি যে, নিম্ন আদালতে বিভিন্ন প্রশাসনিক ও পদ্ধতিগত জটিলতা কারণে তারা তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
চিঠিতে আগামী ঈদের আগে ছাত্রদের জামিন প্রাপ্তির জন্য প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। এছাড়া রিমান্ডে এবং করোনকালীন সময়ে ছাত্রদের প্রতি কোনও নিপীড়ন হচ্ছে কিনা তা তদন্ত করার ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয় চিঠিতে।
চিঠিতে স্বাক্ষর করেন সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, হাফিজ উদ্দিন খান, আসম আবদুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্না, অধ্যাপক পারভীন হাসান, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, বদিউল আলম মজুমদার, নারী নেত্রী শিরিন হক, লেখক নৃবিজ্ঞানী রেহনুমা আহমেদ, অর্থনীতিবিদ ড. রেজা কিবরিয়া, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু এবং জোনায়েদ সাকি।
সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন ড. কামাল হোসেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।