গাছ কেটে কফিশপও যুক্তিযুক্ত নয়: সাবেক ছাত্রনেতাদের বিবৃতি
রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কাটার প্রতিবাদ জানিয়েছেন ১১টি বাম ছাত্রসংগঠনের সাবেক ১৬ জন নেতা। আজ শনিবার (৮ মে) এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেছেন, কফিশপের জন্যও গাছ কাটা যুক্তিযুক্ত নয়।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণে এখন স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের কাজ চলছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। প্রকল্প বাস্তবায়নে শতাধিক গাছ কাটা পড়ায় পরিবেশবাদী সংগঠনসহ বিভিন্ন জন সরব হয়েছেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্প পরিচালক, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব হাবিবুল ইসলাম বলেছেন, সেখানে কোনো দোকান হচ্ছে না, পুরো উদ্যানে সাতটি ‘ফুড কিওস্ক’ তৈরি করা হবে। আর যতটি গাছ কাটা পড়বে তার ১০ গুণ গাছ লাগানো হবে।
সাবেক ছাত্রনেতাদের বিবৃতিতে বলা হয়, “স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্পের মাধ্যমে বাঙালির মুক্তিযুদ্ধের গৌরবের ইতিহাসের স্মারক সংরক্ষণ হোক, এটা বাংলাদেশের সকলের প্রাণের আবেগ ও দাবি।
“কিন্তু বাণিজ্যিক স্বার্থে কফিশপ বা স্ন্যাক্সের দোকান করতে গিয়ে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ নির্বিচারে কাটাকে যুক্তিযুক্ত মনে করছি না।”
গাছ কেটে বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণের পরিকল্পনা বাতিলের দাবি জানান তারা।
বিবৃতিদাতারা হলেন- বাংলাদেশ ছাত্রলীগের (জাসদ) সাবেক সভাপতি শরিফুল কবির স্বপন, ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি সামসুল আলম সজ্জন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাবেক সভাপতি খালেকুজ্জামান লিপন, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাবেক সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাবেক সভাপতি আবু নাসের অনিক, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি খান আসাদুজ্জামান মাসুম, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের (জাসদ) সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী হাসান তরুণ, ছাত্র কেন্দ্রের সাবেক সভাপতি মইনউদ্দিন চৌধুরী লিটন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি মনিরুদ্দিন পাপ্পু, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাবেক সভাপতি মাহফুজুর রহমান সমুদ্র, জাতীয় ছাত্র ঐক্যের সাবেক সভাপতি জুয়েল আহমেদ খান, সমাজবাদী ছাত্র জোটের সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান, সাধারণ সম্পাদক মাসুম উদ্দীন, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেন নাহিদ, বাংলাদেশ ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শুভাশিস সমাদ্দার শুভ, বাংলাদেশ ছাত্র সমিতির সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহমেদ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের (জাসদ) সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন।