শিক্ষাখাতে বাজেটের ২৫ শতাংশ করার দাবি
আসন্ন বাজেটে শিক্ষাখাতে অন্তত ১৮ শতাংশ বরাদ্দ করে ক্রমান্বয়ে তা ২৫ শতাংশে উন্নীত করাসহ ৪ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন। মঙ্গলবার (৪ মে) রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
তাদের অন্য তিনটি দাবি হচ্ছে- তথ্য-প্রযুক্তি ও শিক্ষণ-প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন খাতের বরাদ্দকে শিক্ষাখাতের বরাদ্দ হিসেবে দেখানো বন্ধ করতে হবে; শিক্ষাখাতের বরাদ্দ বাড়াতে দেশি-বিদেশি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের ওপর সারচার্জ আরোপ করতে হবে এবং সামরিক খাতে বরাদ্দ কমিয়ে স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতের বরাদ্দ বাড়াতে হবে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের সহ-সভাপতি নজির আমিন চৌধুরী জয়, সাংগঠনিক সম্পাদক মিখা পিরেগু, ইউনিয়নের ঢাবি সংসদের সহকারী সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সংসদের ক্রীড়া সম্পাদক শিমুল কুম্ভকার প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত এমডিজির লক্ষ্যমাত্রা পূরণের অন্যতম শর্ত হলো শিক্ষাখাতে জিডিপির অন্তত ৬ শতাংশ অথবা মোট বাজেটের অন্তত ২০ শতাংশ বরাদ্দ নিশ্চিত করা। এই অঙ্গীকার সরকার ২০১৫ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব শিক্ষা ফোরামে করে এসেছে। সরকার শুধু সেই অঙ্গীকার ভঙ্গ করেছে তা-ই নয়, উল্টো শিক্ষণ-প্রশিক্ষণ ও তথ্য-প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতের বরাদ্দকে শিক্ষাখাতের বরাদ্দ হিসেবে উপস্থাপনের নোংরা চাতুর্য প্রদর্শনেও পিছপা হয়নি। জাতীয় আয়ের ৬ ভাগ তো দূরের কথা, শিক্ষাখাতে জিডিপির ২ ভাগ বরাদ্দও গত ১২ বছরে নিশ্চিত করতে পারেনি এই সরকার। আমরা অত্যন্ত ক্ষোভ ও দুঃখের সাথে খেয়াল করি যে, যুদ্ধবিধ্বস্ত ও অন্যান্য স্বল্পোন্নত দেশও বাংলাদেশের চেয়ে শিক্ষাখাতে ঢের বেশি বরাদ্দ রাখে।
তারা আরও বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিশাল বাজেট কিংবা শিক্ষণ-প্রশিক্ষণ খাতের বরাদ্দকে শিক্ষাখাতের বরাদ্দ হিসেবে দেখানোর নজিরও অতীতে আমাদের সামনে স্থাপন করেছে বর্তমান সরকার। আমরা এইসব শুভঙ্করের ফাঁকি আর দেখতে চাই না। করোনার ভয়াল থাবা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে গেছে স্বাস্থ্য খাতের ভয়াল দশা। সামরিক খাতের পাহাড়সম বরাদ্দ কমিয়ে স্বাস্থ্য খাতেও পর্যাপ্ত বরাদ্দ নিশ্চিত করা সরকারের আশু কর্তব্য।