৬ দিনে নুরের বিরুদ্ধে ৮ মামলা

নুরুল হক নুর
নুরুল হক নুর  © ফাইল ছবি

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্তত ৬টি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগীয় শহরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৮টি মামলা হয়েছে। এসব মামলাগুলো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে করা হয়েছে।

গত রবিবার (১৮ এপ্রিল) থেকে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে এসব তথ্য জানা গেছে। এসব মামলাগুলো নিয়ে তেমন চিন্তিত নন নুর। তিনি জানিয়েছেন, আইনি প্রক্রিয়ায় তিনি মামলাগুলো মোকাবিলা করবেন।

রবিবার (১৮ এপ্রিল) প্রথম মামলাটি করা হয় রাজধানীর শাহবাগ থানায়। আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মো. আশরাফুল ইসলাম সজীব বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

এরপর পর্যায়ক্রমে রবিবার (১৮ এপ্রিল) নুরকে আসামি করে ইলিয়াস হোসেন নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে রাজধানীর পল্টন থানায় পৃথক একটি মামলা দায়ের করেন। সোমবার (১৯ এপ্রিল) সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালী মডেল থানায় নুরের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন মহানগর ছাত্রলীগ নেতা কিশোয়ার জাহান সৌরভ।

রাজশাহীতে ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরুল হক নূরের বিরুদ্ধে মামলা করেছে রাজশাহী মহানগর যুবলীগ। বুধবার (২১ এপ্রিল) মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় মামলাটি করেন রাজশাহী মহানগর যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি।

নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগরের কোতোয়ালি থানায়ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা আজিজ মিসির বাদী হয়ে গতকাল মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) রাতে মামলাটি করেন।

ডাকসু সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে কুমিল্লায় মামলাটি করেন স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা লিটন সরকার। বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) দেবীদ্বার থানায় মামলাটি করা হয়। কক্সবাজারেও ডিজিটাল আইনে মামলা হয়েছে নুরের বিরুদ্ধে। বুধবার (২১ এপ্রিল) কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলাটি করেন জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মইন উদ্দীন।

এছাড়া ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবা (২২ এপ্রিল) জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল গণী বাদি হয়ে এ মামলাটি করেছেন।

মামলর অভিযোগ নিয়ে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে পুলিশ। পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর গণমাধ্যমকে বলেছেন, মামলার অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতার প্রমাণ পেলে আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে গত বুধবার লাইভে আওয়ামী লীগ ও দলটির নেতাকর্মীদের সমালোচনা করে নুর বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) মুসলমান না। তাদের কোনো বিশ্বাস নেই। একটু খোঁজ নিয়ে দেখেন, তাদের কেউ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন কি-না। তারা শরিয়াহ ও সুন্নাহ অনুসারে নিজেদের জীবনযাপন করছে না।

পরে অবশ্য তিনি তার বক্তব্যের জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন। নুর বলেন, আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের মধ্যে আমার অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী রয়েছে। সেক্ষেত্রে আমি চাইব না তারা আমার প্রতি ক্ষুব্ধ হোক। ১৬ তারিখে দেওয়া বক্তব্যের জন্য কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।

এদিকে, এসব মামলা নিয়ে উল্টো অভিযোগ করেছেন নুরুল হক নুর। তিনি বলেছেন, আর্থিক প্রলোভনে ব্যর্থ হয়ে সরকার একের পর এক মামলা দিচ্ছে। হামলা, মামলা বা কোনো চাপের মুখে সরকারের সাথে আপস করা হবে না। আমরা এসব মামলা আইনি প্রক্রিয়ায় মোকাবিলা করবো।


সর্বশেষ সংবাদ