আট বছর সম্পর্কের পর অন্যত্র বিয়ে, ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা
আট বছরের প্রেমের সম্পর্ক চলাকালীন বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ তুলে বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন এক তরুণী।
বুধবার (২১ এপ্রিল) রাতে তরুণীর অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করেছে পুলিশ। এর আগে সোমবার (১৯ এপ্রিল) রাতে ওই তরুণী লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমলেশ চন্দ্র হালদার।
লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী তরুণী উল্লেখ করেছেন, তার সঙ্গে বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিনের সঙ্গে ৮ বছর ধরে সম্পর্ক চলে আসছিল। জসিম সম্পর্কের বিভিন্ন সময় শারীরিক সম্পর্ক করার প্রস্তাব দেয়। ওই তরুণী প্রস্তাবে রাজি না হলে জসিম উদ্দিন বিয়ের প্রলোভন দেখায়। এ সময় জসিম উদ্দিন বিভিন্ন ধরনের উপহার সামগ্রী দিয়ে আকৃষ্ট ও বিশ্বাস অর্জন করতে চায়।
সেই সূত্র ধরে ২০১৯ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ওই তরুণীর বাসায় বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণ করেন। এতে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন তরুণী। জসিম উদ্দিন এই খবর শুনে গর্ভপাত করার প্রস্তাব দেন। কিন্তু রাজি না হলে সমাজে মুখ দেখানোর উপায় থাকবে না বলে বোঝায়। শেষে গর্ভপাত করার জন্য পিল এনে দেয় জসিম। এতেও কাজ না হলে বরিশাল জেনারেল হাসপাতালে ডা. তানিয়া আফরোজের মাধ্যমে গর্ভপাত করান।
অভিযোগে ওই তরুণী আরো জানান, পরবর্তীতে ঢাকা, বরিশালের বিভিন্ন হোটেল ও রেস্তোরাঁয় দেখা করার সময় বিয়ের প্রলোভন দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। সর্বশেষ ২০২১ সালের ৫ মার্চ রাত সাড়ে ১১টায় তরুণীর বাসায় গিয়ে সারারাত এক সঙ্গে থাকেন জসিম উদ্দিন। এ সময় তরুণীকে তিনবার ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই তরুণী এপ্রিল মাসের শুরুর দিকে নগরীর সাগরদিতে জসিম উদ্দিনের বাসায় গিয়ে বিয়ের দাবিতে অবস্থান করেন। এর কিছুদিন পরে তিনি জানতে পারেন, জসিম উদ্দিন তাকে বাদ দিয়ে অন্য এক মেয়ের সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।
অভিযুক্ত মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাকে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে ওসি কমলেশ চন্দ্র হালদার বলেন, মামলার পরবর্তী কার্যক্রম আইন অনুসারে চলবে। অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।