ক্ষমা না চাইলে হেফাজত নেতাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার হুঁশিয়ারি
সম্প্রতি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাংগঠনিক কার্যক্রমের সমালোচনা করে সংগঠনটির নেতাদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহবান জানিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা ছাত্রলীগ। ক্ষমা না চাইলে সংগঠনটির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার হুঁশিয়ারিও দেয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (০৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ হুঁশিয়ারি দেয় হয়।
এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে সকল ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানায় ছাত্রলীগ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান শ্রাবণসহ অন্য নেতারা।
এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন। তিনি বলেন, আমরা চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি ওইদিন আমাদের দলের মিছিলের কেউ মাদ্রাসায় কিংবা তার আশপাশে যায়নি। এমনকি কেউ গুলিও চালায়নি। তারা এ সংক্রান্ত কোনও তথ্য দিতে পারবে না। হেফাজতের এমন মিথ্যাচার আল্লাহ সইবেন না।
তিনি বলেন, গত ৫ এপ্রিল হেফাজত নেতারা সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তাণ্ডবে হেফাজতের কেউ জড়িত নেই। আমরা তাদের এই বক্তব্যকে নিছক মিথ্যাচার ও জঘন্য অপরাজনীতি বলে মনে করি। তাদের এই বক্তব্য ধর্মপ্রাণ মানুষকে মারাত্মকভাবে মর্মাহত করেছে।
শোভন বলেন, সারা পৃথিবী জেনেছে গত ২৬ মার্চ সমস্ত বাঙালি জাতি যখন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছিল, তখনই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারকীয় তাণ্ডব চালায় হেফাজত সমর্থিত মাদ্রাসাছাত্ররা। হেফাজত নেতারা ঘটনার শুরু থেকেই মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন।