নিজ বাড়িতে গ্রেফতার রাবির সাবেক ছাত্রনেতা ইমন

  © ফাইল ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্যকোর্স বিরোধী আন্দোলনের নেতা ফারুক ইমনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (৫ এপ্রিল) রাত ১১টায় টাঙ্গাইল কালিহাতীর নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে সাবেক এই ছাত্রনেতার গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফেডারেশন।

মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে দেয়া এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্র ফেডারেশন রাবি শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আশরাফুল আলম সম্রাট ও সাধারণ সম্পাদক মহব্বত হোসেন মিলন এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, যখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কিছু বিভাগে শিক্ষার্থীদের সমর্থের কথা বিবেচনা না করে বেতন ফি বৃদ্ধি করে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন চরম অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছিল। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়কে সার্টিফিকেট বিক্রির দোকান বানিয়ে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছিল। ঠিক তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বস্তরের শিক্ষার্থীদের নিয়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলেছিল ছাত্র নেতা ফারুক ইমন, গোলাম মোস্তফা, উৎসব মোসাদ্দেকসহ প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

বিবৃতিতে আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনে তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টরিয়াল বডি সশস্ত্রভাবে ছাত্রদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। তাদের হামলায় অনেক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। এতে আন্দোলন আরো তীব্র হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ ছাত্রনেতৃবৃন্দের উপর মামলা করে আন্দোলন বন্ধ করে দেওয়ার অপচেষ্টা চালায়। যেই মামলার একটি নিষ্পত্তি হলেও অপরটি এখন চলমান।

গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতিতে উল্লেখ করেন, চলমান মামলা থেকে ফারুক ইমনের উপর ওয়ারেন্ট জারি করে তাকে নিজ বাড়ি থেকে রাতের আধারে গ্রেফতার করা হয়। শিক্ষার্থীদের পক্ষে আন্দোলন করতে গিয়ে ফারুক ইমনকে এভাবে হেনস্থা করার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা অবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি। অন্যথায় আবারো শিক্ষার্থীদের নিয়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবো।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে বর্ধিত ফি ও বাণিজ্যিক সান্ধ্যকোর্স বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল হয়েছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। আন্দোলন দমাতে সেসময় বিভিন্ন শিক্ষার্থীর নামে মামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

তৎকালীন এ আন্দোলনের নেতা ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন রাবি শাখার সাবেক সভাপতি ফারুক ইমন। ফলে তার নামেও হয় দুটি মামলা। যার দুটি মামলার একটি নিষ্পত্তি হলেও একটি এখনো চলমান। সে মামলার ওয়ারেন্ট জারি থাকায় সোমবার রাত ১১টায় তাকে টাঙ্গাইল কালিহাতীর বাড়ি থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে।


সর্বশেষ সংবাদ