মামুনুলের পক্ষে স্ট্যাটাস, ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার

মাে. ফয়েজ উদ্দিন
মাে. ফয়েজ উদ্দিন  © টিডিসি ফটো

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন সুনামগঞ্জ জেলা শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাে. ফয়েজ উদ্দিন। স্ট্যাটাসে ফয়েজ মামুনুলের রিসোর্ট কাণ্ডে তার পক্ষ নেয়ায় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজের অভিযোগ করে তাকে সংগঠনটি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

সোমবার (০৫ এপ্রিল) কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরী সিদ্ধান্ত মােতাবেক জানানাে যাচ্ছে যে, শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যকলাপে জড়িত থাকায় মাে. ফয়েজ উদ্দিনকে (যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, সুনামগঞ্জ জেলা শাখা) বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলাে।

এর আগে মাে. ফয়েজ উদ্দিন মামুনুলকে নিয়ে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘আজকে মামুনুল হক সাহেবের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিছু মানুষের মধ্যে যে আনন্দ উৎসব দেখা যাচ্ছে বিশেষ করে কিছু নামধারী ছাত্রলীগের কর্মীদের মধ্যে। আসলে আজ কিছু বলতে ইচ্ছে করছে। কেনাে জানি মনে হচ্ছে কয়েকজন ছাত্রলীগকর্মীর জন্য আজ গােটা সংগঠনটি কলংকিত।

মামুনুল হক হলেন আমাদের দেশের ৪ জন বড় আলেমদের মধ্যে একজন। তিনি একটা খারাপ কাজ করার আগে অন্তত ১০০ বার ভেবে দেখবেন তা কি হিতে বিপরীত হতে পারে কি। এমন কি উনার মাপের যেকোনাে লােক কিছু করতে হলে আগে ভেবে নেবে অনেকবার।

উনার সহধর্মিণী নিয়ে উনি একটা হোটেলে গিয়েছেন যেকোনাে কারনেই হউক মেয়েটা তো আর কেউ নয় উনার সহধর্মিণী। কিন্তু আমার কথা হচ্ছে সত্য-মিথ্যা জানার আগে ছাত্রলীগের সব পােষ্ট কতকিছু বলে এখন তার শেষ ফল কি হল সেই সব ছাবলীগের কর্মীদের কাছে জানতে চাই। আমরা এমন ছাত্রলীগ একজন আলেমরেও সম্মান করতে জানিনা, লােক দেখানো রাজনীতি বন্ধ করো। কয়জন ছাত্রলীগের কর্মী ভালো করে কোরআন-হাদিস বুঝো, ভালো করে ছাত্র রাজনীতিও করতে পারো না। যেকোনাে বিষয় লইয়া ফেসবুকে কেন আসা লাগে। আগে নিজ ঠিক হও পরে অন্যরে লইয়া মাতামাতি কইরাে।

একজন ছাত্রলীগকর্মী ভুল করলে গােটা সংগঠন গালি শুনে। আমি নিজে একজন ছাত্রলীগের কর্মী, সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছি। কিন্তু সব সময় মাথায় থাকে নিজের আত্মসম্মানবোধ মাথায় রেখে চলার। আমি চাই না আমার জন্য গোটা সংগঠন খারাপ কথা শুনুক। যাদের উদ্দেশ্যে লিখলাম বা কইলাম মনে রাইক্ষ রাজনীতি এমন এক জায়গা যতদিন তেমার হ্যাডম আছে ততদিন তোমার মূল্য আছে। তাই আমরা সঠিকভাবে নিজের দেশ-জাতি ধর্মকে এগিয়ে নিয়ে যাই। সঠিক মনোভাবে যেনো ফিরে আসি।’’

সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান রিপোস্ট জানান, ফয়েজ উদ্দিনের ফেসবুকের স্ট্যাটাস দেখে জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে বহিষ্কারের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছিল। এর প্রেক্ষিতে তাকে তার পদ থেকে এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সকল কর্মকাণ্ড থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ