চাকরি পেতে ছাত্রলীগ করতে হয়: জোনায়েদ সাকি
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, দেশে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের শাসন মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার বিপরীত। তারা বাংলাদেশের সংবিধান সাম্য ও মানবিক মর্যাদার কথা বলে। অথচ এখন চাকরি পেতে হলে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা হতে হয় নতুবা আওয়ামী লীগ করতে হয়। এটা সমতা নয়।
শুক্রবার (১৯ সার্চ) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার আয়োজনে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, দেশের মধ্যে চুরি, দুর্নীতি লুটের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে গোয়েন্দা সংস্থা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে তুলে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। বর্তমানে আওয়ামী লীগ সরকার যে শাসন কায়েম করেছে তা মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার বিপরীত। জনগণের ন্যূনতম মর্যাদা নেই। আদালতও দখল করে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সমস্ত ক্ষমতা এখন প্রধানমন্ত্রীর হাতে। এই প্রধানমন্ত্রীর জায়গায় যেই প্রধানমন্ত্রীই বসুক না কেন ক্ষমতার অপপ্রয়োগ তিনিও করবেন। তাহলে মুক্তি কোন পথে? এই রাষ্ট্রকে সংস্কার না করে একটা নির্বাচনও হবে না। ফলে এই সরকারের পতন আর রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর; এই দুলে মিলে আজকে এক দফা তৈরি হয়েছে। এই এক দফা সংগ্রাম বাংলাদেশে তৈরি করতে হবে। এটাই হোক বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তিতে নতুন শপথ।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ একাত্তর সালকে নিজেদের পকেটে রাখতে চায়। তারা ছাড়া যেন কেউ যুদ্ধ করেনি। তারা ছাড়া যেন এই মুক্তির সংগ্রামে আর কারও অবদান ছিল না। এই রকম একটা ইতিহাস তারা তৈরি করতে চায়। বর্তমান সময় নিয়ে আওয়ামী লীগ কথা বলে না, তারা একাত্তর সালেই ঘুরপাক খায়। পরবর্তীকালের রাজনীতি দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ভূমিকা নির্ধারণ করা যায় না। ৫০ বছরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি আর একাত্তরের ভূমিকা এক নয়।
গণসংহতি আন্দোলন জেলা কমিটির সমন্বয়কারী তরিকুল সুজনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহবায়ক শিল্পী রফিউর রাব্বি, গণসংহতি আন্দোলন জেলা শাখার নির্বাহী সমন্বয়কারী অঞ্জন দাস, শিক্ষা ও রাজনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান রিচার্ড।
সমাবেশে ভিন্নমত-সমালোচনা-গণমাধ্যম দমনের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি তুলে ভোটাধিকার ও জনগণের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবার জানান বক্তারা।