লেখক মুশতাক হত্যার প্রতিবাদে ছাত্র ইউনিয়নের বিক্ষোভ
লেখক মুশতাক হত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের বিক্ষোভ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে।শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বরে এই বিক্ষোভ কর্মসূচী পালিত হয়।
ছাত্র ইউনিয়ন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের আহ্বায়ক মেহেরাজ কবীরের সভাপতিত্বে ও সদস্য মুক্ত রেজোয়ানের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল, ছাত্র ইউনিয়ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সদস্যরা।
বিক্ষোভ কর্মসূচীতে বক্তারা বলেন, ‘বর্তমানে রাষ্ট্রের ছড়িয়ে দেয়া সীমাহীন হতাশার ভাইরাসে আমরাও কি আক্রান্ত, যা করোনার চেয়ে বহুগুণ ভয়ঙ্কর! তা হলো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, যা দ্বারা জনমনে এক ভীতি সঞ্চার করছে। একে ভয়ের রাজনীতি বললেও ভুল হবে না বলে মনে করি। বাংলাদেশে আজ ভয়ের রাজনীতি বিরাজ করেছে। বিশ্বাস করি অথবা ভাবি সে ভয় হয়তো সাময়িক। কারণ ভয়-ভীতি দিয়ে আর যাই হোক মানুষের মন জয় করা যায় না, লাঞ্ছিত মন একদিন না একদিন বিদ্রোহ করবেই!
নেতৃবৃন্দ বলেন, এই ভয়ের রাজনীতির আপাতত ক্ষতির একটা প্রধান শিকার কিশোর-তরুণ সমাজ। আর সেই তারুণ্য কখনোই যেন ঐক্যবদ্ধ হতে না পারে, তাকে ঘুম পাড়িয়ে রাখবার, তার মনোযোগ যেন কিছুতেই ‘রাষ্ট্র মেরামতের’ দিকে ধাবিত না হয়, তার সকল আয়োজন গুরুত্বের সঙ্গে সম্পন্ন করে রাষ্ট্র। আর যারা এখনো তরুণকে সংগঠিত করবার চেষ্টা করছেন, তাদের জন্য তৈরি হয় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো নতুন নতুন নিপীড়নমূলক আইন। আইন প্রতিষ্ঠারও তো যুক্তি আর বৈধতা তৈরি করা লাগে। তার জন্য নিয়োজিত আছেন রাষ্ট্রের পোষা বুদ্ধিজীবীগণ। একইভাবে আমরা দেখলাম ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মারপ্যাঁচে গ্রেফতার করা হয়েছিলো লেখক মুশতাক আহমেদকে। এই বিষাক্ত সাপের ছোবল খেয়েছে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী। কিছু দিন পূর্বে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জিকে সাদিককে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এহেন ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটছে।
তারা বলেন, মুখে যত গণতন্ত্রের কথাই বলা হোক না কেন, রাষ্ট্রীয় কোনো সিদ্ধান্ত, সরকারদলীয় কারো কোনো অপকর্মের কোনো সমালোচনা করা যাবে না। যা সারা পৃথিবীর কোনো গণতান্ত্রিক দেশে বিরল! তারা আরও বলেন, যারা এই জং ধরা রাষ্ট্র যন্ত্রের মেরামত ও ঘুনে ধরা সিস্টেমের পরিবর্তন করতে চায়। তারা যদি প্রতিবাদে সোচ্চার হয় তবে আমাদের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিতে পারবেনা কেউ। এই নিপীড়নমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন একদিন অবশ্যই বাতিল হবে।