দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একই চিত্র: ছাত্র ফ্রন্ট
ঢাকা মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসক এএসএম আলী ইমাম (শীতল)-এর উপর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নির্যাতনের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। আজ শনিবার এক ফ্রন্টের সভাপতি আল কাদেরী জয় ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স এক যৌথ বিবৃতিতে এ নিন্দা জানান।
ছাত্র ফ্রন্টের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এএসএম আলী ইমামের ওপর নির্যাতনের ঘটনাটি পত্রপত্রিকার মাধ্যমে দেশবাসীর নজরে এসেছে। ‘তার পছন্দের বিভাগে কেন ইন্টার্ন করতে দেয়া হবে না’- এই প্রশ্ন তোলায় তাকে বেধড়ক মারধর করে কলেজ ছাত্রলীগের নেতারা। তার কোমর থেকে পা পর্যন্ত রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করাসহ হাঁটুর নিচের হাড় ভেঙে দেয়া হয়েছে। মাথায় আঘাতের একপর্যায়ে বমি শুরু হলে তাকে টিভি রুম থেকে বের করে দেওয়া হয়।
‘‘ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বলছেন, এর আগেও তার ওপর নির্যাতন হয়েছিল বলে তিনি শুনেছেন। এই ঘটনা আমাদেরকে বুয়েটে আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। সেখানেও ঠিক একই কায়দায় ভিন্ন মত প্রকাশের জন্য ছাত্রলীগ আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছিল। এই একই চিত্র সারাদেশের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই। আজ আইন শৃংখলা বাহিনীগুলোর সাথে সাথে ছাত্রলীগও সরকারের লাঠিয়াল বাহিনীর দায়িত্ব পালন করছে।’’
এতে বলা হয়েছে, ছিনতাই, চাদাবাজী, টেন্ডারবাজী, মাদক ব্যবসা, আধিপত্য বিস্তার, সিট দখল, কারণে অকারণে সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে মারধর, অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের কর্মীদের ওপর হামলা, এগুলো মিলে সরকারের প্রত্যক্ষ সমর্থনে আজ প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তারা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।
ছাত্র ফ্রন্টের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখার জন্যই ছাত্রলীগ গণরুমে নির্যাতনের সংস্কৃতি চালু রেখেছে, তৈরি করেছে টর্চার সেল। আর এগুলো যাতে নির্বিঘ্নে চলতে পারে, কোন সংগঠিত প্রতিরোধ যাতে গড়ে উঠতে না পারে, তাই তারা সুকৌশলে ‘ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা’ কে সমাধান হিসেবে সামনে নিয়ে আসেন। ছাত্রলীগের এই ত্রাসের রাজত্ব ভাঙতে আজ সর্বস্তরের ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকের সম্মিলিত প্রতিরোধ প্রয়োজন।