বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি ছাত্র মৈত্রীর

  © টিডিসি ফটো

করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খুলে পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রী। রবিবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

সংগঠনের সভাপতি কাজী আব্দুল মােতালেব জুয়েলের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অতুলন দাস আলাের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রাক্তন সভাপতি ও নির্বাচিত সিনেট সদস্য সাদাকাত হােসেন খান বাবুল। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন সভাপতি মানােয়ার হােসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি হয়াতুন্নেসা রুমা, সহ-সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম আন শিশি, সাংগঠনিক সম্পাদক অপিতি আপৃতা সৃষ্টি প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাদাকাত হােসেন খান বাবুল বলেন, সম্প্রতি সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা নেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি ভাল উদ্যোগ। কিন্তু সেই ভাল উদ্যোগের গুড়ে বালি হয়, যখন শিক্ষার্থীদের সুবিধা-অসুবিধা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যাপারটি বিবেচনায় না নিয়ে উদ্যোগটি গৃহীত হয়।

“একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র হিসাবে বর্তমান প্যানডেমিক সিচ্যুয়েশনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলাের এমন বিমাতাসুলভ সিদ্ধান্তকে আমার কাছে চরম হঠকারী, অবিবেচনাপ্রসূত এবং একপাক্ষিক মনে হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উচিত শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করে হল খুলে দেয়া এবং তারপর পরীক্ষা গ্রহণ করা।”

সংগঠনের সভাপতি কাজী আব্দুল মােতালেব জুয়েল বলেন, করােনাকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিজ বাড়িতে অবান করতে হয়েছে। অধিকাংশ শিক্ষার্থীর নিকট প্রযুক্তি ও উচ্চগতির ইন্টারসেবা না থাকায় তারা অনলাইন শিক্ষার সুযোেগ অনেকাংশেই নিতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে তাদের জন্য পরীক্ষা গ্রহনের পূর্বে সব কোর্সের রিভিউ ক্লাস নিতে হবে। একইসাথে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে যাতায়াত নিশ্চিত করতে হবে।

প্রসঙ্গত, করোনার কারণে দীর্ঘদিন পরীক্ষা বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি বিভিন্ন পাবলিক বিশ্বিবদ্যালয় সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ শিক্ষার্থীই প্রথম থেকেই এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আসছে। তাদের দাবি হচ্ছে আগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আবাসিক হল খুলে তারপর পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ