যে কয়টা বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে দাঁড়াবে সবকটাকে পেটাব: সনজিত
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরোধীতাকারীদের হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভপতি সনজিত চন্দ্র দাস। তিনি বলেছেন, ‘হুজুর-মোল্লা-পুরোহিত চিনি না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে যে কয়টা দাঁড়াবে সবকয়টাকে পেটানো হবে।
আজ রবিবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজুভাস্কর্যের পাদদেশে ছাত্রলীগ আয়োজিত সমাবেশে সনজিত বলেন, কুষ্টিয়ার ঘটনা আমাদের বুকে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। যারা এ কাজ করেছে, তারা দিনের বেলা বাবা (ইয়াবা) খেয়ে ঘুমায়। রাতের বেলা সোজা হয়ে দাঁড়ায়, এসে ভাস্কর্য ভাঙে। তাদের এত সাহস বেড়ে গেছে, তারা এখন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে কথা বলে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে যদি আর কোন ধরনের ষড়যন্ত্র করা হয় তাহলে বলে দিলাম আপনাদের পিঠের ছাল থাকবে না। আপনাদের পিঠের চামড়া তুলে নেব। একজনকেও ছাড় দেয়া হবে না। সবকয়টাকে পিটিয়ে লাশ বানানো হবে। হাত ভাঙতে হয় আমার হাত ভাঙুন। আমি কিছু বলবো না। কিন্তু আমাদের কলিজায় হাত দিয়েন না; কলিজায় হাত দিলে সে হাত আর বের করতে দেব না।
অতীতে ষড়যন্ত্রের মোকাবিলায় ছাত্রলীগের অবস্থান তুলে ধরে সনজিত বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে আমরা সকল ধরনের ষড়যন্ত্রের জবাব আমরা এ রাজপথে থেকে দিয়েছি। সামনের দিনেও এটা অব্যাহত থাকবে। কোন পর্দার আড়ালে থেকে আমরা রাজনীতি করি না, আমরা আমাদের নিজেদের মেধা এবং এ দেশকে ধারণ করে রাজনীতি করি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদেরকে এ শিক্ষাকাই দিয়েছেন।
সনজিত বলেন, ঘরে বসে হুশিয়ারি-স্ট্যাটাস দেয়া অনেক হয়েছে। আমরা হুশিয়ারিতে বিশ্বাস করি না। পেটান, পেটানো শুরু করে দেন। সব ঠিক হয়ে যাবে। ২০১৩ সালের ৫-৬ মে ট্যাবলেট খাওয়া হয়েছিল তখন হুজুরদের মাথা ঠিক হয়েছিল। এখন আবার তাদের মাথা নষ্ট হয়ে গেছে। আবার ট্যাবলেট খাওয়ানোর সময় হয়েছে। সে সময়েও তারা ঘোষণা দিয়েছিল আমাদের অপরাজেয় বাঙলা, রাজু ভাস্কর্য ভেঙে ফেলবে। সে সময়েও আমরা রাজপথে ছিলাম, মোকাবিলা করেছি। আমরা শাহবাগে ছিলাম, পিটিয়েছি। যে কয়টা আমাদের দেশের বিরোধীতা করবে সবকটাকে পেটাব।
ধর্মীয় বক্তাদের সমালোচনা করে সনজিত বলেন, আপনারা কোরআন-হাদিসের অপব্যাখ্যা দেবেন না। শক্তি থাকলে ঘোষণা দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসুন, আপনাদের শক্তি আমরা দেখব। আপনারা আমাদের কলিজায় আঘাত দিয়েছেন। আপনারা ইসলাম ধর্মের লোক নন, দেশের শত্রু ও রাজাকারদের বংশধর। আপনাদের ভেতরে ইসলাম নেই, আছে দেশকে জঙ্গিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র। আমরা বাঙালি-বাংলাদেশি। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আর কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র হলে পিঠের চামড়া তুলে নেব। একজনকে ছাড়া হবে না।