ধর্মের অপব্যাখ্যাকারীদের বিচার চায় ছাত্রলীগ

সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য
সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য  © টিডিসি ফটো

ধর্মের অপব্যাখ্যাকারীদের বিচার দাবি করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। যারা ধর্ম প্রচারের নামে ভুল তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে সংগঠনটির পক্ষ থেকে তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানানো হয়েছে। সংঠনটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘এ দেশের মানুষ সুশিক্ষায় শিক্ষিত; তাদেরকে ভুল তথ্যের মাধ্যমে বিভ্রান্ত করা যাবে না।’

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের উদ্যোগে আয়োজিত উগ্র সাম্প্রদায়িকতা ও সন্ত্রাস বিরােধী বিক্ষোভ সমাবেশে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়।

লেখক ভট্টাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে বাঙলী জাতির মুক্তির জন্য যে কয়টি কথা বলেছিলেন তার মধ্যে এ দেশের মানুষের সাংস্কৃতিক মুক্তি ছিল অন্যতম। আজকে ২০২০ সালে মুজিববর্ষে এসে বাংলাদেশ তার রাজনৈতিক মুক্তি পেয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের রাজনৈতিক মুক্তির পর এ দেশের মানুষ অর্থনৈতিক মুক্তির পথে এগিয়ে চলেছে। আমরা ইতিমধ্যেই একটি উন্নত-উন্নয়নশীল দেশে পদার্পন করেছি।

তিনি বলন, এ দেশে সাস্কৃতিক আগ্রাসনের কারণে কাঙ্খিত সাংস্কৃতিক মুক্তি আমরা অর্জন করতে পারছি না। সাংস্কৃতিক মুক্তি অর্জন করার জন্য তরুণ সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। তাদেরকে বাংলাদেশের ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের সঙ্গে মিলেমিশে চলতে হবে। সর্বপরি এ বাঙলার মাটিতে মিশে থাকা মানুষের হাজার বছরের যে মূল্যবোধ তাকে সম্মান দিতে হবে।

ধর্মীয় বক্তাদের সমালোচনা করে লেখক বলেন, শুধু মাইকে ভাষণ কিংবা ধর্মীয় সভার নামে ভুল তথ্য দিয়ে আমরা তাদেরকে বিভ্রান্ত করতে পারি না। আমরা মনে করি, যারা ধর্মীয় গ্রন্থের ব্যাখ্যা দেয়ার নাম ব্যবহার করে মিথ্য এবং কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেয় তারাই আজ বাঙলার মানুষের ধর্ম নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে।

লেখক বলেন, আমরা ধর্মপ্রাণ মানুষ। ধর্ম নিয়ে ছিনিমিনি খেলে এদেশের মানুষকে আর বিভ্রান্ত করা যাবে না। বাংলাদেশের মানুষ ধর্মগ্রন্থ পড়ে থাকে। এ দেশের মানুষ সুশিক্ষায় শিক্ষিত। ধর্মীয় গ্রন্থ পড়ার মাধ্যমে তাদের কাছে সঠিক তথ্যটা জানা আছে।

ধর্মীয় বক্তাদের বিচার দাবি করে লেখক বলেন, এ দেশের কিছু ধর্মীয় বক্তা নারী নেতৃত্ব, ধর্মপ্রাণ মানুষের অনুভুতি, দেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের বিপক্ষে কথা বলে। তারা এসবের মাধ্যম দেশদ্রোহীতার মত অপরাধ করছেন। দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহীনি ও বিচার বিভাগের কাছে দাবি থাকবে; যারা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নামে ধর্মের অপব্যাখ্যা করবে তাদেরকে ব্লাসফেমি আইনে বিচারের আওতায় আনতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ