০৮ অক্টোবর ২০২০, ১৪:৪৬

‘মনুষ্যত্ব নেই বলেই হাজতে বসেও হাসে ধর্ষক দেলোয়াররা’

প্রগতি বর্মন তমা ও ডানে ধর্ষক দেলোয়ার

মানুষের মতো হাত পা, শারীরিক কাঠামো থাকলেই মানুষ হওয়া যায় না। থাকতে হয় মনুষ্যত্ব, মানবিকবোধ। সেটা নেই বলেই ধর্ষক দেলোয়াররা গ্রেফতারের পর হাজতে গিয়েও হাসতে পারে। এরকম মনুষ্যত্বহীন সব দেলোয়ারকে আমাদের রুখে দিতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার( ৮ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত নারী, শিশু ধর্ষণ ও নিপীড়ন বিরোধী সমাবেশে এসব কথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক প্রগতি বর্মন তমা।

তিনি বলেন, সমালোচিত সেই ধর্ষক দেলোয়ার গ্রেফতারের পরেও পুলিশ হাজতে হাসে। মনুষ্যত্ব নেই বলেই এটা সম্ভব। আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে না দাঁড়ালে মনুষ্যত্বের দাবি মানবিকতার দাবি চাপা পড়ে যাবে। সেটা আর করা যাবে না। এবার আমাদের ঘুড়ে দাঁড়াতে হবে।

তিনি আরো বলেন, মনে প্রাণে প্রতিবাদী হতে হবে। দেশভাগের পর ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা যুদ্ধের উদ্দেশ্যই ছিল মানবিক, সাম্য, অধিকার প্রতিষ্ঠা। কিন্তু সরকার দলের ছত্রছায়ায় একেকটা নারী ধর্ষক, নিপীড়ক দেলোয়াররা বেড়ে উঠছে। আর বসে থাকলে চলবে না, ভেঙে দিতেই হবে, রুখে দিতে হবে ধর্ষকদের। এই স্বাধীন বাংলাদেশে ধর্ষক নিপীড়কদের ঠাঁই হবে না।

এদিকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও ধর্ষণে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তিসহ সব ধর্ষণের বিচার নিশ্চিতের দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো রাজধানীর শাহবাগে বিক্ষোভ চলছে। এতে অংশ নিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থী, বামধারার ছাত্র সংগঠনের কর্মী ও শিক্ষার্থীরা।