করোনাকালে প্রথম প্রকাশ্য রাজনৈতিক সমাবেশ!

  © সংগৃহীত

বেশ বড়সড় মঞ্চে বসে আছেন ২০/২৫ জন নেতা। সামনে রাখা চেয়ারে বসে আছেন আরও সহস্রাধিক নেতাকর্মী। দেশের রাজনৈতিক দল ও অঙ্গ সংগঠনগুলোর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বেশ পরিচিত দৃশ্যই এটি। তবে করোনাকালে সব দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। প্রকাশ্যে সভা-সমাবেশ বন্ধ। প্রায় সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডই চলছে অনলাইনে।

তবে এরমধ্যেই ছাত্রদলের মহানগর শাখার আয়োজিত একটি কর্মসূচি আলোচনার জন্ম দিয়েছে। করোনাকালেই সহস্রাধিক নেতাকর্মী নিয়ে সমাবেশ করেছেন শাখাটি। তবে সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নেতাকর্মীরা বসেছিলেন একে অন্যের গা ঘেষে।

অনেকের সঙ্গে মাস্ক থাকলেও সেগুলো মুখে ছিল না। মুখের নিচে কিংবা কানে ঝোলানো ছিল। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল। তার সঙ্গেও মাস্ক ছিল, তবে তা মুখে পরেননি তিনি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৩তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে ওই ছাত্র সমাবেশের আয়োজন করা হয়। শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রংপুর মহানগর ছাত্রদলের ওই সমাবেশে শাখার সভাপতি নুর হাসান সুমন সভাপতিত্ব করেন।

সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া ইসলাম জিমের সঞ্চালনা প্রধান বক্তা ছিলেন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল। বিশেষ অতিথি ছিলেন, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তবিবুর রহমান সাগর, মাহবুব মিয়া, সহ সাধারণ সম্পাদক ইছামস্তাজ ইজাজ শাহ্ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি করে রেখেছিল বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে। বিএনপি নিয়ে সুদুঢ়প্রসারী ষড়যন্ত্র চলছে। কিন্তু শহীদ জিয়ার পরিবার ও বিএনপি মানুষের রাজনীতি করে। তাই কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না।

তারা আরও বলেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে শত শত ‘মিথ্যা মামলা’ দায়ের করেছে। কোন ষড়যন্ত্রই তারেক রহমানকে দমিয়ে রাখতে পারবেনা। সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে তারেক রহমান বীরের বেশে দেশে ফিরবেন বলেও তারা আশা প্রকাশ করেন।

করোনাকালে ছাত্রদলের এভাবে প্রকাশ্য সমাবেশ নিয়ে কথা বলতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলের মোবাইলে ফোন দেওয়া হয়। তবে তিনি ফোর রিসিভ করেননি।


সর্বশেষ সংবাদ