কাঁদা-পানি ভেঙে ত্রাণ পৌঁছাচ্ছেন লুঙ্গি পরিহিত রাব্বানী
চারিদিকে থই থই পানি। কোথাও হাঁটার জায়গা নেই। এ অবস্থায় অসহায় হয়ে পড়েছেন দেশের বিভিন্ন জেলার মানুষ। আর তাদের সাহায্যেই একজন নৌকা ভর্তি ত্রাণ নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এ ঘাট থেকে ও ঘাটে। লুঙ্গি পরে ঘরে ঘরে ঈদ উপহার পৌঁছে দিচ্ছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও এমন ছবি ঘুরছে।
গল্পটা গোলাম রাব্বানী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাধারণ সম্পাদক (জিএস)। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় বিতর্ক উঠলে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন তিনি। যদিও এরপরও নানা ধরণের কাজ করে আলোচনায় রয়েছেন তিনি। সর্বশেষ এই উপায়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আলোচনায় আসলেন গোলাম রাব্বানী।
জানা গেছে, ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আম্পানে খুলনা, সাতক্ষীরা, যশোর, ঝিনাইদহের অনেক স্থান পানিতে ডুবে গেছে। অনেক জায়গা ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। এতে আশ্রয়স্থল হারানোর পাশাপাশি খাদ্য, পানি, পরিধেয় সঙ্কটে পড়েছেন ওই অঞ্চলের মানুষ।
এর মধ্যেই ঈদের দিন খুলনার কয়রা ও সাক্ষীরার শ্যামনগরে ঘূর্ণিঝড় আম্পান দুর্গত এলাকার ৬টি স্থানে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন তিনি। ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে খাবার ছাড়াও নারী-পুরুষ ও শিশুদের জন্য নানা ধরনের পোশাকও বিতরণ করেন রাব্বানী।
এ ধরনের ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে শেয়ার করে গোলাম রাব্বানী লিখেছেন, ‘আজ পবিত্র ঈদুল ফিতরে, সারাদিন খুলনার কয়রা ও সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ঘূর্ণিঝড় আম্পান দুর্গত এলাকার ৬টি ভিন্ন ভিন্ন স্থানে দেশরত্ন শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ভালোবাসার ঈদ উপহার, খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়েছে।’
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে গোলাম রাব্বানী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘করোনার কারণে আগে থেকেই মানুষে বিপদে রয়েছে। এরমধ্যে আম্পানে ওই অঞ্চলের মানুষ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের কথা স্থানীয়দের নিকট থেকে শুনেই ছুটে গেছি। আমার যতটুকু সামর্থ্য আছে, তাদেরকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি।’
তিনি বলেন, ‘শুকনো খাবারের পাশাপাশি শাড়ি, লুঙ্গি, গেঞ্জি, সাবানসহ অনেক কিছুই দিয়েছি তাদেরকে। প্রায় ৭০০ পরিবারকে সহযোগিতা করতে পেরেছে। তবে খাবারের চেয়েও তাদের বেশি প্রয়োজন, বাঁধগুলো দ্রুত মেরামত করা। কারণ ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার বাঁধ ভেঙে তাদের বাড়ি-ঘর প্লাবিত হয়েছে।’ এ বিষয়ে সরকারকে আরও মনোযোগী হওয়ার আহবান জানান তিনি।