ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবিলায় নেতাকর্মীদের জরুরি নির্দেশনা ছাত্রলীগের
ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাব শুরু হয়েছে দেশের সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট এলাকায়। এর আগে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে প্রথমে চার থেকে পাঁচ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের কথা বলা হলেও এখন বলা হচ্ছে, পাঁচ থেকে ১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা রয়েছে।
উপকূলীয় এলাকায় ঘণ্টায় ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। এছাড়া চার ধাপে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এ অবস্থায় দুর্গত এলাকার মানুষের পাশে দাড়াতে নেতাকর্মীদের প্রতি জরুরি নির্দেশনা জারি করেছে ছাত্রলীগ।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যখনই এদেশের বুকে কোন দুর্যোগ দেখা দিয়েছে, তখনই মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে ছাত্রলীগ। এখন বুধবারের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
এ অবস্থায় উপকূলীয় এলাকায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়ে বলা হেয়েছে, আম্ফান সম্পর্কে ও আঘাত হানার সময় করণীয় সম্পর্কে উপকূলের বাসিন্দাদের সতর্ক করতে হবে। এছাড়া সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিতে হবে।
করোনা সংক্রমণ রোধে সবাইকে মাস্ক পরে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দেয়ার কথা বলে এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিতে হবে। এছাড়া পরবর্তী পুনর্বাসনের জন্য স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করে মানুষের পাশে দাঁড়াতে নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে উপকূলীয় এলাকায় যেসব কৃষকের ধান কাটা হয়নি, তাদের পাশে থেকে ধানকাটা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার জন্যও নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছে ছাত্রলীগ।