বিতর্কিত ১৯ জনের নাম প্রকাশ নিয়ে কী বললেন শোভন?
নবগঠিত ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি থেকে ১৯ জন ‘বিতর্কিত’ নেতার পদ শূন্য ঘোষণা করে মঙ্গলবার রাতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। তবে বিজ্ঞপ্তিতে সেই ১৯ জনের নাম প্রকাশ করা হয়নি। আর এ নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। সংগঠনের কমিটিতে পদবঞ্চিতরা একে ‘নতুন একটি প্রহসন’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে পদবঞ্চিতরা একে ‘শুভংকরের ফাঁকি’, ‘চাতুরী’ ও ‘সুপরিকল্পিত অপরাজনীতি’ হিসেবেও আখ্যা দিয়েছেন।
তবে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘পারিবারিক ও সামাজিক’ দিক বিবেচনায় কমিটি থেকে বাদ পড়া ‘বিতর্কিত’ ১৯ জন নেতার নাম প্রকাশ করবে না তারা। যাঁদের পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে, তাঁদের ব্যক্তিগতভাবে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি৷
এর আগে যখন ১৬ জনের নাম প্রকাশ করা হয়েছিল তাঁদের অনেকের বাবা-মা বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন, অনেকে কান্নাকাটি করেছেন উল্লেখ করে শোভন বলেন, প্রত্যেকেরই একটা সম্মান আছে। নাম প্রকাশ করলে গণমাধ্যমে এমনভাবে ছড়াবে, তাঁদের মারাত্মক সম্মানহানি হবে। যেমন-যাঁদের নামের পাশে মাদকাসক্ত লেখা আছে, গণমাধ্যমে নাম প্রকাশের পর তাঁদের বাবা-মা সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হবেন। সন্তান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে, বাবা-মা তো আর জানেন না যে সে মাদকাসক্ত।’
শোভন বলেন, ‘যাঁদের নাম আমরা প্রকাশ করেছিলাম, তাঁদের অনেকে আমাদের কাছে এসে কান্নাকাটি করে বলেছেন, “পদের দরকার ছিল না, এলাকায় লোকজন এখন আমাদের যেভাবে ট্রিট করছেন, বাবা-মা মুখ দেখাতে পারছেন না। ” এ কারণে নাম প্রকাশ না করে চিঠি দিয়ে পদ শূন্য ঘোষণার বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হবে। ’
অন্যদিকে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই তাঁদের সর্বোচ্চ গঠনতন্ত্র। শেখ হাসিনা এ মুহূর্তে বিদেশ সফরে রয়েছেন। শেখ হাসিনা দেশে ফিরলে তাঁদের কাছে থাকা সব তথ্য-প্রমাণ ও তালিকা তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর কাছেই দেবেন।
এদিকে নাম প্রকাশ ছাড়াই ‘বিতর্কিত’ ১৯ জনকে বাদ দিয়ে ছাত্রলীগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া অংশের নেতৃত্বে থাকা ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক সাঈফ বাবু রাতে গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘বিতর্কিতদের নাম প্রকাশ না করার মাধ্যমে পরবর্তীতে কারও ওপর তাঁদের (সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক) প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার সুযোগ রাখা হলো।’