শিগগিরই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাচ্ছেন ছাত্রলীগের পদ বঞ্চিতরা
শিগগিরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করার আশ্বাস পেয়েছেন ছাত্রলীগের কেন্ত্রীয় কমিটির পদ বঞ্চিতরা নেতারা। রোববার রাতে পদবঞ্চিতদের একটি প্রতিনিধি দল ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে দলের শীর্ষ চার নেতার সঙ্গে বৈঠকে এ আশ্বাস পান। এছাড়া বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে যোগ্য ও ত্যাগী নেতাদেরকে কমিটিতে স্থান দেওয়া হবে বলেও তাদেরকে জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ডাকসুর কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক বিএম লিপি আক্তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘কমিটি হওয়ার পর থেকে চলমান সকল সমস্যা গতকাল রাতে ধানমন্ডি ৩/এ পার্টি অফিসে দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করেন আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ। আমরা আমাদের যে যৌক্তিক দাবিগুলো করেছিলাম তার সব কয়টি দাবি মেনে নিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক।’
তিনি আরো লিখেছেন, ‘তারা অনাকাঙ্খিত ঘটনাগুলোর জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। খুব শিগগিরই আমাদের আপার সাথে দেখা করিয়ে দিবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন আওয়ামীলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দ। ১৩ মে মধুর ক্যান্টিনে রোকেয়া হলের সাধারণ সম্পাদক শ্রাবনী দিশাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের উপর হামলার ঘটনার বিচার দ্রুত হবে বলে জানিয়েছেন তারা।’
বিতর্কিতদের বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘যে ১৭ জনের নামে বিতর্ক আছে তাদের পদগুলো শুন্য হবে, হয়তো দু’একজন থাকবে যাদের শুধুমাত্র বয়সের সমস্যা তাও আপার অনুমতির সাপেক্ষে। দু’এক দিনের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। অন্য আর যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তাদের বিষয়গুলো যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই শুন্য পদগুলোতে ত্যাগী যারা বাদ পড়েছে তাদের মূল্যায়ন করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ একটি ঐক্যবদ্ধ পরিবার, সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারন সম্পাদক।’
রোববার রাতে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক, বাহাউদ্দিন নাছিম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা আবু কাওসার।
আন্দোলনকারীদের পক্ষে ছিলেন ছাত্রলীগের রোকেয়া হলের সভাপতি বিএম লিপি আক্তার, বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা পারভীন, শামসুন নাহার হলের সভাপতি নিপু ইসলাম তন্বী, ডাকসুর সদস্য তিলোত্তমা সিকদার, গত কমিটির প্রচার সম্পাদক সাঈফ বাবু, বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের সভাপতি শ্রাবণী শায়লা, জসীম উদ্দীন হলের সাধারণ সম্পাদক শাহেদ খান।
বৈঠক শেষে রাজু ভাস্কর্যে এসে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি হিসেবে মোল্লা কাউছারের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করে কর্মসূচি প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। এ সময় বিভিন্ন ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।
আওয়ামী লীগের চার জ্যেষ্ঠ নেতার আশ্বাসে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা দীর্ঘ ২২ ঘণ্টা পর তাদের আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করেছেন। রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে তারা আন্দোলন স্থগিত করেন।