২১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭:৪৯

ছাত্রশিবির সব সময় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির বিপক্ষে: জাহিদুল ইসলাম

নবীনবরণ ও ক্যারিয়ার গাইডলাইন অনুষ্ঠান বক্তব্য দিচ্ছেন শিবির সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম (ইনসেটে শিক্ষার্থীরা)  © টিডিসি

বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের নিয়ে নবীনবরণ ও ক্যারিয়ার গাইডলাইন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, বাকৃবি শাখা এ আয়োজন করে। এতে এক হাজারের বেশি নবীন শিক্ষার্থী অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আবু নাছির ত্বোহা সভাপতিত্ব করেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. । অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন, মৃত্তিকাবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু জোফার মো. মোসলেহ উদ্দিন, কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান এবং অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন। 

এ ছাড়া কেন্দ্রীয় গবেষণা সম্পাদক ফখরুল ইসলাম, মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক শরীফ মাহমুদ, শাখা শিবিরের সাবেক সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

নবীন শিক্ষার্থীদের জন্য আকর্ষণীয় ব্যাগ, টি-শার্ট, বই, প্যাড, কলমদানী ও চাবির রিং উপহার দেওয়া হয়। কৃষিবিষয়ক বিভিন্ন সেক্টরে কর্মরত শিবিরের সাবেক নেতারা ক্যারিয়ার গাইডলাইনে নিজেদের অভিজ্ঞতার আলোকে নবীনদের দিকনির্দেশনা দেন। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অ্যাকাডেমিক উন্নয়নের পাশাপাশি বিভিন্ন সফট স্কিল ও পেশাগত দক্ষতা অর্জনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ইসলামী ছাত্রশিবির সব সময় লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির বিপক্ষে।ইসলাম ও রাষ্ট্রের স্বার্থে যারা কাজ করবে, শিবির তাদের সহযোগিতা করবে কিন্তু কখনও লেজুড়বৃত্তি করবে না। এই প্রজন্মে অন্ধ আনুগত্য, ভাই পলিটিকস চলবে না। এখন আর জোর করে মিছিলে নিয়ে যাওয়ার কথা বলারও সাহস কেউ পাবে না, ৫ আগস্টে এর কবর রচনা হয়ে গেছে।’

আরও পড়ুন: এবার বিসিএসের অডিট ক্যাডার থেকে চাকরিচ্যুত হলে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক দুই নেতা

নারী ও অমুসলিমদের বিষয়ে প্রচলিত সমালোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নারীদের বিষয়ে শিবিরের বিরুদ্ধে একটি মহল উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচার চালায়। সেটি তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অপপ্রচার। যার কোনো ভিত্তি নেই। অমুসলিমদের প্রতি ইসলামের উদারনীতির সঙ্গেই শিবির একমত এবং সেই মূল্যবোধই ধারণ করে।’

বাঙালি সংস্কৃতি প্রসঙ্গে শিবির সভাপতি বলেন, ‘বাঙালি সংস্কৃতির নামে দীর্ঘদিন আমাদের ওপর কলকাতার সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল।  আমরা চাই আমরা আমাদের আত্মপরিচয় ও আত্মসম্মানের সংস্কৃতি চর্চা করতে। আমরা আমাদের স্বকীয়তা ও সক্ষমতা বুঝতে শিখেছি। কার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলব তার সিদ্ধান্ত আমরা নিজস্ব অবস্থান থেকেই নেব।’

শিক্ষার মানোন্নয়ন নিয়ে তিনি বলেন , শিবির ইতোমধ্যে ৩০ দফা শিক্ষা প্রস্তাব দিয়েছে। সরকার তা বাস্তবায়ন করলে শিক্ষা, গবেষণা ও কারিগরি খাতে বাংলাদেশ বৈশ্বিক অগ্রগতির নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।