২০ নভেম্বর ২০২৫, ২৩:১৩

৪৭তম বিসিএসে লিখিত পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে পিএসসিকে শিবিরের স্মারকলিপি

৪৭তম বিসিএসে লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন করার দাবিতে পিএসসিতে শিবিরের স্মারকলিপি   © টিডিসি

৪৭তম বিসিএসে লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন করার দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি পৌঁছে দেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহর নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ স্মারকলিপিতে বলা হয়, গত ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের অধীনে ৪৭তম বিসিএস এর প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং পূর্বঘোষিত লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি অনুযায়ী আগামী ২৭ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ থেকে লিখিত পরীক্ষা শুরু হবে। অর্থাৎ, প্রিলিমিনারি পরীক্ষা পরবর্তী লিখিত পরীক্ষার মধ্যে সময়ের ব্যবধান ৬৯ দিন।

এতে বলা হয়, নিয়োগ প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতা কমানো এবং অন্যান্য নিয়োগসমূহ রোডম্যাপ অনুযায়ী সম্পন্ন করার পিএসসির এই পদক্ষেপ অবশ্যই প্রশংসনীয়। কিন্তু প্রিলি-পরবর্তী ২ মাসের কাছাকাছি সময়ের ব্যবধানে লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি সম্পন্ন করা, বিশেষ করে প্রথমবারের মতো লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, পরীক্ষার মাত্র এক সপ্তাহ বাকি থাকলেও প্রার্থীরা এখনো পরীক্ষার সময় পিছিয়ে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করছেন। তাদের দাবি হচ্ছে— "এর আগে কোনো বিসিএস পরীক্ষার লিখিত অংশ এত দ্রুত অনুষ্ঠিত হয়নি। নতুন অংশ নেওয়া পরীক্ষার্থীদের জন্য মেধাভিত্তিক প্রতিযোগিতা অনেকটাই ব্যাহত হবে। তাই আমাদের প্রস্তুতির জন্য আরও সময় প্রয়োজন।"

দাবি বাস্তবায়নের সুফল জানিয়ে বলা হয়, নিকট অতীতের বিভিন্ন বিসিএসের প্রিলিমিনারি রেজাল্ট প্রকাশিত হওয়ার পর লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার সময়ের ব্যবধান পর্যালোচনায় দেখা যায়—৬ মাসের কম সময়ের ব্যবধানে প্রিলি-পরবর্তী লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। তাই শিক্ষার্থীদের দাবি বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত কোনো সমাধানে আসলে সার্বিকভাবে তা সবার জন্যই কল্যাণকর হবে।

স্মারকলিপিতে পিএসসির প্রতি জোর দাবি জানিয়ে শিবির বলছে— পরীক্ষার্থীদের (বিশেষ করে নতুন অংশ নেওয়া) উপযুক্ত প্রস্তুতির সুযোগ নিশ্চিত করতে ৪৭তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি যৌক্তিক পরিবর্তনের মাধ্যমে সমাধান করা হোক।