১৪ মে ২০১৯, ১৭:১৯

নিজ ভাইকে বড় পদে বসালেন সভাপতি শোভন

ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও তার ছোট ভাই রাকিনুল হক চৌধুরী ছোটন   © সংগৃহীত

দুই বছর মেয়াদী কমিটির প্রায় ১১ মাস পর পূর্ণাঙ্গ হয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি। কিন্তু কমিটি ঘোষণার পর থেকে শুরু হয়েছে তীব্র বাদ-প্রতিবাদ। স্বজনপ্রীতি, চাকরিজীবী, নিষ্ক্রিয়, বিবাহিত, অছাত্র, মাদক মামলার আসামি, হত্যা মামলার আসামিসহ বিতর্কিতরা স্থান পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাতে এই কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ বঞ্চিতরা বিক্ষোভ করলে তাদের মারধর করা হয়। আহতের অধিকাংশই নারী নেত্রী। 

এদিকে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের আপন ছোট ভাই রাকিনুল হক চৌধুরী ছোটনকে নিয়ে চলছে সমালোচনা। ছাত্র রাজনীতির মাঠে তিনি যেমন অপরিচিত, কেন্দ্রীয় রাজনীতিতেও ততটাই ছিলেন নিষ্ক্রিয়। অথচ গেল এক বছরেই তাকে সবাই চেনে। সেটাও ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের কল্যাণে। ছোটন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী। 

এবার ছোটনকে ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়েছেন শোভন। কেন্দ্রীয় কমিটিতে তাকে আন্তর্জাতিক সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দিয়ে পদ বন্টনে শোভনের বিরূদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলেছেন ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত কর্মীরা। এর আগে ছোটন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সমাজসেবা সম্পাদক ছিলেন।

প্রসঙ্গত, সোমবার বিকেল চারটার দিকে ৩০১সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী এই কমিটির অনুমোদন দেন।

এর আগে দুপুরের দিকে তালিকা নিয়ে গণভবনে যান সংগঠনটির কেন্দ্রীয় দুই নেতা। তারা ৩০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সদস্যদের সম্পর্কে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবহিত করেন। গত বছরের ১১ মে ছাত্রলীগের ২৯তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনের পর কমিটি ঘোষণার নিয়ম থাকলেও শীর্ষ পদের নেতৃত্ব বাছাইয়ে সময় নেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্মেলনের আড়াই মাস পর ৩১ জুলাই সংগঠনটির শীর্ষ দুই নেতার নাম প্রকাশ করা হয়।

আরো পড়ুন: ছাত্রলীগ নেত্রীরা লাঞ্ছিত হওয়ায় আমরা মর্মাহত

আরো পড়ুন: রাব্বানীর জেলা থেকেই পদ পেল ২২ জন