১৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৬:২১

আওয়ামী লীগের নাশকতা সৃষ্টির প্রতিবাদে ঢাকা কলেজ শিবিরের অবস্থান কর্মসূচি

ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা  © টিডিসি ফটো

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী কর্তৃক দেশব্যাপী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও নাশকতার প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রশিবির। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ১০ টা থেকে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড়ে অবস্থান নেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।

এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাস ও নিউমার্কেট বিক্ষোভ মিছিল করে কলেজ শাখা ছাত্রশিবির। বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।

এসময় জাহিদুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ গত কয়েকদিন ধরেই বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য নানামুখী কার্যক্রম চালাচ্ছে। ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় তারা বাসে অগ্নিসংযোগ করছে। আমরা সরকারের কাছে আহ্বান জানাব যেন তারা তাদের জায়গা থেকে কঠোর হয়। পাশাপাশি ছাত্র সংগঠন হিসেবে এবং জুলাইয়ের শহীদদের আকাঙ্ক্ষার ধারণকারী একটি সংগঠন হিসেবে আমরা আমাদের জায়গা থেকে এই কর্মসূচি প্রতিহত করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বিশেষ করে গত কয়েকদিনে আমাদের সারাদেশে কর্মসূচি ছিল। আজকেও ঢাকায় আমরা কর্মসূচি পালন করেছি এবং ঢাকাসহ সারাদেশে বিভিন্ন জায়গায় আমাদের অবস্থান কর্মসূচি অব্যহত থাকবে।

ছাত্রসমাজসহ দেশপ্রেমিক সবাইকে আওয়ামী লীগের এই সমস্ত সন্ত্রাসী কার্যক্রমকে প্রতিহত করার জন্য মাঠে থাকার আহ্বান জানান ছাত্রশিবির সভাপতি।

সরেজমিনে দেখা যায়, সাইন্সল্যাবের চারটি সড়কের প্রান্তে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা সতর্কভাবে অবস্থান করছেন। তারা হাতে জাতীয় পতাকা ও সবুজ রঙের পাইপ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। যান চলাচলে ট্রাফিক পুলিশকে সহযোগিতা করছেন। আজ বৃহস্পতিবার সারাদিন সাইন্সল্যাব মোড়ে অবস্থান করবেন বলে জানান সংগঠনটির নেতারা।

সাইন্সল্যাবে অবস্থান কর্মসূচির বিষয়ে ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি আব্দুর রহমান আফনান বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে আ.লীগ কেমন সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রম চালিয়েছে সেটা আমরা সবাই জানি। এই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে খুনি হাসিনা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু এখন ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসররা গর্ত থেকে উঁকি দিচ্ছে। তারা আজ বাংলাদেশের লকডাউন ঘোষণা করেছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই, আপনারা গর্তে আছেন গর্তেই থাকুন। বের হওয়ার চেষ্টা করলে ছাত্রজনতা আবারো আপনাদেরকে প্রতিহত করবে।