থানায় উপস্থিত নিহত জবি ছাত্রদল নেতার পরিবারের সদস্যরা, নেই ওসি
পুরান ঢাকার আরমানিটোলা টিউশনিতে গিয়ে জবি ছাত্রদের নেতা জোবায়েদ হোসাইনের খুনের ১০ ঘন্টা পেরোলেও অধরা রয়েছে আসামিরা। রবিবার মধ্যরার (১৯ অক্টোবর) পর্যন্ত সন্দেহভাজন কাউকে আটক করতে পারেনি বংশাল থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় মামলা করতে থানায় প্রায় ৩ ঘন্টা ধরে উপস্থিত রয়েছেন নিহতের বাবা, বড় ভাইসহ পরিবারের সদস্যরা। তবে ওসি ৩ ঘন্টা ধরে থানায় উপস্থিত পাওয়া যায়নি।
এর আগে আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে বংশাল থানার সামনে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি তারা তাতীবাজার মোড় অবরোধ করে রাখে। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে অবরোধ তুলে নিলেও থানার সামনে ও ভেতরে অবস্থান করছেন শিক্ষার্থীরা।
এদিন রাত ১১ টার দিকে ওই ছাত্রী বর্ষাকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ ওই ছাত্রীকে হেফাজতে নেয়। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি। এদিন রাত ১১ টার সময় আরমানিটোলার নূরবক্স রোড়ের নিজ বাসা থেকে তাকে পুলিশ প্রটোকলে পুলিশের গাড়িতে তোলা হয়। এর আগে রাত ১০ টা ৫০ এর সময় খুনের শিকার জোবাইদ হোসাইনের লাশ ময়না তদন্তের জন্য মিডফোর্ড হাসপাতালে নেয় পুলিশ।
জানা যায়, জোবায়েদ হোসাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯- ২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। একই সাথে তিনি কুমিল্লা জেলা ছাত্র কল্যাণের সভাপতি ও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য ছিলেন। গত এক বছর ধরে জোবায়েদ হোসাইন পুরান ঢাকার আরমানীটোলায় ১৫,নুরবক্স লেনে রৌশান ভিলা নামের বাসায় বর্ষা নামের এক ছাত্রীকে ফিজিক্স ক্যামেস্ট্রী ও বায়োলজি পড়াতেন। ওই ছাত্রী বর্ষার বাবার নাম গিয়াসউদ্দিন। এদিন আনুমানিক বিকাল ৪ টার ৪৫ মিনিটের দিকে ছাত্রীর বাসার তিন তলায় তিনি খুন হন। বাসার নিচ তলার সিড়ি থেকে তিন তলা পর্যন্ত সিড়িতে রক্ত পড়েছিলো। তিন তলার সিড়িতে উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এদিন বিকাল ৫ টার দিকে পুলিশ আসে ওই বাসায়। সন্ধ্যা সাড়ে সাত টার দিকে লালবাগ জোনের ডিসি এসে ছাত্রীর পরিবার ও বাসার অন্যান্য সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন।