যদি-কিন্তু ছাড়া জবাব না পেলে অবশ্যই ডাকসু পুনর্বিবেচনার সুযোগ থাকবে: আবিদ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের সহ-সভাপতি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান বলেন, যদি-কিন্তু ছাড়া যে অভিযোগগুলো এসেছে, সেগুলোর প্রপার জবাব যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশন দিতে না পারে, তাহলে ২০২৫ সালের ডাকসু নির্বাচন নিয়েও পুনর্বিবেচনা করার সুযোগ অবশ্যই আছে এবং সেটা আমরা আদায় করব ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, একটা জাল বিছানো হয়েছে, যে জাল আপনার খুব পরিচিত। কিন্তু যখন আপনাকে জালে নেওয়া হয়েছে, তখন দেখলেন এই জালের কোনো কিছুই আপনার অবশিষ্ট নেই। যার প্রপার দৃষ্টান্ত ছিল নির্বাচনের দিন সকালে। আমাকে ভিলেন বানানো হলো—আমি ভোট কেন্দ্র দখলের জন্য গিয়েছি। এটা কখনোই মেইনস্ট্রিম মিডিয়া থেকে আশা করি নাই এবং সেটা কারা করেছে তাদেরও দোষ দিচ্ছি না। যে রিটার্নিং অফিসার আমাকে নিয়ে কেন্দ্র পরিদর্শন করেছে, সেই রিটার্নিং কর্মকর্তারাই কিন্তু সাংবাদিকদের বিভ্রান্ত হতে বাধ্য করেছে।
তিনি আরও বলেন, সুতরাং আপনারা বুঝতেই পারছেন— ভেতরটা আমাদের জন্য কতটা ডিফিকাল্ট ছিল। বারবার যদি অভিযোগ করি, সেটা শুনতে আপনাদের কাছেও খারাপ লাগবে। এজন্য পরিস্থিতিটা মোকাবেলা করে এসেছি। কিন্তু নির্বাচন শেষ হয়ে গিয়েছে, তার মানে এই নয় যে সবকিছু চুকিয়ে গেছে।
আবিদ বলেন, আমরা যে অসংগতি পেয়েছি, সেগুলো নিয়ে বাংলাদেশের যে নির্বাচনী কালচার— নেগেটিভ রেজাল্ট আসার বিক্ষোভ করা, অবরোধ করা, মিছিল করা, বিশেষ করে ২০১৯ ডাকসু নির্বাচন শেষে ভিসি অফিস অবরুদ্ধ কর; আমরা কিন্তু বিশাল স্যাক্রিফাইসের মধ্য দিয়ে পূর্বের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ফিরে না গিয়ে ধৈর্যধারণ করেছি। নতুন বাংলাদেশের নতুন ছাত্র রাজনীতি বিনির্মাণে ভূমিকা রেখেছি।