১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:১৩

চাকসু নির্বাচনে অংশ নিতে ‘বিশেষ গোষ্ঠী’কে ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে চাকসু নির্বাচন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা  © সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ‘বিশেষ গোষ্ঠী’কে সুবিধা দিতে ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাতে ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে চবি শাখা ছাত্রশিবির। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশনে অধিকাংশ বিএনপিপন্থী শিক্ষকের সংশ্লিষ্টতার কারণে নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়েও শঙ্কা জানিয়েছে সংগঠনটি।

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে চাকসু নির্বাচন নিয়ে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলে নেতাকর্মীরা।

লিখিত বক্তব্যে শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, ‌‘নির্বাচন কমিশনের অধিকাংশ সদস্যই সরাসরি একটি বিশেষ দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকাবস্থায় নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে আমরা শঙ্কিত। নির্বাচন কমিশনে দায়িত্বে থাকা প্রফেসর ড. জাহিদুর রহমান চৌধুরী যিনি প্রকাশ্যে ছাত্রশিবিরসহ তার মতাদর্শ বিরোধী সবার বিরুদ্ধে বিদ্বেষ পোষণ করেন।’

তিনি বলেন, ‘এমন একজন শিক্ষক নির্বাচন কমিশনে থাকলে সেই নির্বাচন সুষ্ঠ হওয়া সম্ভব নয়। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ করতে হবে। নির্বাচন কমিশনে ৬০ শতাংশ সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষক; যেটি গভীরভাবে নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে। এ অবস্থায় নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে আমরা আশঙ্কা করছি। নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ করতে নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের দিয়ে ঢেলে সাজাতে হবে।’

আরও পড়ুন: আমরণ অনশনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ শিক্ষার্থী

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ৪টি দাবি জানান নেতাকর্মীরা। সেগুলো হলো চাকসুর গঠনতন্ত্রে সভাপতি হিসেবে উপাচার্যকে একচ্ছত্র ক্ষমতা দিয়েছে, যা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে পদে পদে বাধা গ্রস্থ করবে; যুগোপযোগী, প্রয়োজনীয় ও ক্যাম্পাসের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক অনেক সম্পাদক পদ রাখা হয়নি। অধিকন্তু প্রয়োজন নেই এমন অনেক পদে সহসম্পাদক পদ যুক্ত করা হয়েছে। প্রশাসনকে গঠনতন্ত্র সংস্কারের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সম্পাদক পদ বৃদ্ধি করতে হবে।

সংগঠনটির নেতাকর্মীরা আরও বলেন, ‘প্রশাসন কোনো ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে আলোচনা না করেই বিশেষ একটি ছাত্রসংগঠনকে একপক্ষীয় সুবিধা দিতে ভোটার ও প্রার্থীদের বয়সসীমা তুলে নিয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রশাসনকে এ ধরনের একপেশে সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা স্পষ্ট করতে হবে। আমরা মনে করি একটি দলের নেতাদের ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দিয়ে কোনো আলোচনা ছাড়াই তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়ার জন্যই বয়সসীমা তুলে দেওয়া হয়েছে এবং গঠনতন্ত্রে উল্লিখিত চাকসুর বিভিন্ন কমিটিতে সভাপতিকে সীমাহীন ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। আমরা মনে করি, সভাপতির ক্ষমতা হ্রাস করে নির্বাচিত সহসভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সংশ্লিষ্ট সম্পাদকের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’