০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০:২৬

ডাকসু নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা তৈরি হলে ড. ইউনূসকে দায় নিতে হবে: জুলাই ঐক্য

জুলাই ঐক্যের লোগো  © সংগৃহীত

দেশের বিভিন্ন স্থানে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি, আওয়ামী লীগের নৈরাজ্য ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে রাজধানীতে মানববন্ধন করেছে গণ-অভ্যুত্থানের স্পিরিট ধারণ করা ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফরম ‘জুলাই ঐক্য’। সোমবার (৭ আগস্ট) বিকেলে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে এ কথা বলেন জুলাই ঐক্যের সংগঠকেরা। 

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও জুলাই ঐক্যের সংগঠক মুসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ ও এবি জুবায়ের, জুলাই ঐক্যের সংগঠক ইসরাফিল ফরাজী, বোরহান মাহমুদ, ডিউক হুদা, মাসউদুর রহমান ও আসমাউল হুসনা। 

মানব বন্ধনে বক্তারা বলেন, ডাকসু নির্বাচন নিয়ে প্রথম থেকেই ষড়যন্ত্র চলমান। মঙ্গলবার ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানাধরণের আলোচনা শোনা যাচ্ছে। আমরা জানতে পেড়েছি ক্যাম্পাসের আশপাশের এলাকাগুলোতে নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাকর্মীরা অবস্থান করছে। একই সঙ্গে নির্বাচনের দিন ক্যাম্পাসের আশেপাশে লেজুরবৃত্তি ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেবে। ডাকসু নিয়ে কোনো রকম বিশৃঙ্খলা তৈরি হলে কিংবা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করা হলে তা রুখে দেবে ছাত্রজনতা। কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় তাহলে সব দায়ভার এই অন্তর্বর্তী সরকারকেই বহন করতে হবে।

তারা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার যেভাবে আমাদের শহিদ ভাইদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে শপথ গ্রহণ করেছিল সেই শপথ বঙ্গ করেছে। আজ আমরা বিচার পাচ্ছি না। আমাদের আহত ভাইরা চিকিৎসা পাচ্ছে না। প্রশাসন এখনও আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালানো হচ্ছে। এখনও ক্যাম্পাসে রক্ত ঝড়ছে। হাট হাজারি মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উপর হামলা চালানো হচ্ছে। এককথায় বলতে গেলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি একেবারেই ভেঙে পড়েছে। 

ডাকসুর নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জুলাই ঐক্যের সংগঠকগন বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি নির্বাচন নিয়ে কয়েকটি পক্ষ চক্রান্ত করছে। শিক্ষার্থীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বিএনপির পক্ষ থেকে। ক্যাম্পাস এলাকায় এখনও বহিরাগতরা ঘুরাফেরা করছে। ঢাবি প্রশাসন এবং পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। ডাকসু নির্বাচন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রতীক। কোনো কারণে যদি এই নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করা হয় অথবা কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় তাহলে সব দায় ভার এই অন্তর্বর্তী সরকারকেই বহন করতে হবে।  

হুঁশিয়ারি দিয়ে আরও বলেন, নির্বাচনের দিন যদি লেজুরবৃত্তি দলগুলো ক্যাম্পাসের আশেপাশে অবস্থান নেয় তাহলে আমরাও ছাত্রজনতাকে সঙ্গে নিয়ে অবস্থান করব। তারা খালি হাতে আসলে আমরা লাঠি হাতে আসবো। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার আগমুহূর্তে পর্যন্ত জুলাইয়ের ছাত্রজনতাকে সঙ্গে নিয়ে আমরা অবস্থান করব। আমরা বিএনপি বা জামায়াত কারও রক্তচক্ষুকে ভয় করি না। যে জুলাইয়ের ছাত্রজনতা হাসিনাকে দেশছাড়া করেছে সেই জুলাইয়ের ছাত্রজনতা ডাকসুর ফলাফল নিয়ে বাড়ি ফিরবে। 

গত কয়েকদিন যাবৎ রাজধানীতে নিষিদ্ধ সংগঠনের মিছিলের বিষয়ে জুলাই ঐক্যের সংগঠকেরা বলেন, আমরা ডাকসুর নির্বাচনকে সামনে রেখে নীরব ছিলাম। উসকানিতে আমরা ধৈর্য ধরে ছিলাম। ডাকসুর নির্বাচন শেষ করে আমরা আবারও রাস্তায় নামব। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা যদি কঠোর না হয় তাহলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও দেওয়া হবে।