ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে নতুন করে শুরু হয়েছে অনলাইন প্রোপাগান্ডা: সাদিক কায়েম
ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে পরিকল্পিতভাবে অনলাইনে বিভিন্ন প্রার্থীর বিরুদ্ধে অব্যাহত ট্যাগিং, মিথ্যাচার, অপপ্রচার, চরিত্রহনন ও অমর্যাদাকর প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম। এ ব্যাপারে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দেন।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) বিকেলে দেওয়া স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো।
সাদিক কায়েম লেখেন, ‘ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে নতুন করে শুরু হয়েছে অনলাইন প্রোপাগান্ডা। পরিকল্পিতভাবে অনলাইনে বিভিন্ন প্রার্থীর বিরুদ্ধে অব্যাহত ট্যাগিং, মিথ্যাচার, অপপ্রচার, চরিত্রহনন ও অমর্যাদাকর প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছে। বিশেষ করে নারী প্রার্থীদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে টার্গেট করা হচ্ছে—যা কেবল নৈতিকভাবে ঘৃণিতই নয়, বরং রাজনীতির সুস্থ ধারা ও শিক্ষার্থীদের ভ্রাতৃত্ববোধেরও পরিপন্থী।’
তিনি লেখেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, জুলাই-পরবর্তী সময়ে রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে উৎসাহিত করা উচিত। শিক্ষার্থীদের কল্যাণে যেকোনো ধরনের প্রতিযোগিতা রাজনৈতিক সৌন্দর্যের অংশ, এবং এটি গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির এক অনন্য বহিঃপ্রকাশ। তবে সেই প্রতিযোগিতা হতে হবে ভ্রাতৃত্ব, যুক্তি, মূল্যবোধ ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে—ঘৃণা, মিথ্যাচার ও চরিত্রহননের মাধ্যমে নয়। তাই এ ধরনের হীন, নোংরা ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড আমাদের অবশ্যই পরিহার করতে হবে।’
আরও পড়ুন: ইকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে কর্মসূচি, ধারাবাহিক আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মী, সাধারণ শিক্ষার্থী এবং সারাদেশের বিবেকবান নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি—আসুন, আমরা সবাই অনলাইন বুলিং, হেয়প্রতিপন্নকরণ ও কুৎসা রটনা থেকে বিরত থাকি। রাজনীতির ঊর্ধ্বে মানবিকতা, ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দ্যকে প্রাধান্য দিই।’
শিবিরের এই নেতা লেখেন, ‘আমরা এমন একটি সহনশীল রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তুলতে চাই, যেখানে ভিন্নমত থাকবে, কিন্তু বৈরিতা থাকবে না; প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে, কিন্তু শত্রুতা থাকবে না। এভাবেই নতুন রাজনীতির যাত্রাপথ শুরু হয়েছে, এবং আমরা এই পথচলায় কোনোভাবেই থামব না।’