২১ আগস্ট ২০২৫, ২২:৫৬

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রসংসদের দাবি জানিয়ে প্রকাশ্যে এলেন শিবির সভাপতি 

সাদ কবির  © সংগৃহীত ছবি

ছাত্রসংসদের দাবি জানিয়ে অবশেষে প্রকাশ্যে এলেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সাদ কবির। বুধবার (২০ আগস্ট) রাতে ফেসবুকে নিজ টাইমলাইন এবং বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গ্রুপে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি জানিয়ে ছাত্রশিবিরের সভাপতি হিসেবে পরিচয় প্রকাশ করেন তিনি।

জানা গেছে, সাদ কবির বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০২৪ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন তিনি। গত ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে ক্যাম্পাসের বাইরে এবং ক্যাম্পাসে বেশ কিছু অনুষ্ঠান আয়োজন করলেও কখনোই সরাসরি প্রকাশ্যে আসেননি শিবিরের নেতা-কর্মীরা। 

ফেসবুক পোস্টে সাদ কবির লেখেন, দীর্ঘ ১৭ বছর ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম পেরিয়ে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীনভাবে আমাদের মত প্রকাশের সুযোগ পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে জুলাই বিপ্লবের এক বছর পূর্ণ হলেও এখনও প্রাণের ক্যাম্পাস জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠু ধারার রাজনৈতিক চর্চার প্লাটফর্ম ‘ছাত্র সংসদ’ গড়ে ওঠেনি; যেখানে শিক্ষার্থীরা গণতন্ত্র চর্চা করতে পারবে, নেতৃত্বের প্রতিভা বিকশিত করতে পারবে, নিজেদের অধিকার আদায় করে নিতে পারবে।

তিনি আরও লেখেন, আমরা দেখেছি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় দেয়া ৯ দফার ৭ম দফায় ছাত্রসংসদ নির্বাচনের কথা উল্লেখ ছিল। ইতোমধ্যে আমাদের সমসাময়িক সময়ে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রসংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেলেও জাককানইবিতে ছাত্রসংসদ নির্বাচনে প্রশাসনের তেমন কোন অগ্রগতি এখনও পরিলক্ষিত হয়নি। অতিসত্বর ছাত্র সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানাই। অন্যথায় শিক্ষার্থীরা নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার নিজেরাই আদায় করে নিবে ইনশাআল্লাহ।

পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশের বিষয়ে সভাপতি সাদ কবির বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা প্রকাশ্যেই কার্যক্রম পরিচালনা করছি। আমাদের কমিটি বলতে গেলে ওপেন সিক্রেট। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে আমরা এখনো আমাদের কমিটি প্রকাশ করি নাই। খুব শীঘ্রই আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে কমিটি প্রকাশ করবো। এমনিতে আমাদের কমিটি ৮ সদস্যবিশিষ্ট।

এদিকে ছাত্রশিবিরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ্যে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইমরান হোসেন প্রধান। তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে তো আর এমন কোনো পরিবেশ-পরিস্থিতি নেই যে কারোর গুপ্ত থাকতে হয়। এখন সবাই স্বাধীনভাবে নিজের অধিকার চর্চা করতে পারে, তবুও কোন পরিস্থিতির কারণে শিবির এই রাজনৈতিক অধিকারটা প্রকাশ্যে চর্চা করতে পারছে না সেটা আমিও জানতে চাই, আমারও প্রশ্ন কেন তারা প্রকাশ্যে আসছে না? তাদের হয়তো সাংগঠনিকভাবে কিছু একটা থাকতেই পারে, তবে আমাদেরও আহ্বান থাকবে তারা যেন প্রকাশ্যে আসে, প্রকাশ্যে রাজনীতি করে।