০৮ আগস্ট ২০২৫, ২০:২৮

হল রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবির রোকেয়া হলে বিক্ষোভ

ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও চার দাবিতে হল প্রশাসন বরাবর স্মারকলিপি প্রদান  © সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রোকেয়া হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও চার দাবিতে হল প্রশাসন বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে রোকেয়া হলের একদল শিক্ষার্থী। শুক্রবার (৮ আগস্ট) ছাত্রদলের হল কমিটি প্রকাশের পর বিকেলে রোকেয়া হলের একদল শিক্ষার্থী প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ ও স্বারকলিপি প্রদান করেন।

রোকেয়া হলের ২০২৩-২০২৪ সেশনের শিক্ষার্থী মুনতাহা ইসমাইল এশা বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হলে ছাত্রদল আজকে তাদের হল কমিটি প্রকাশ করেছে, যেখানে ১৬ জুলাই,২০২৪ সালে প্রতিটি হলের ছাত্র-ছাত্রীরা সম্মিলিতভাবে হলের ভিতর রাজনীতি নিষিদ্ধের ঘোষণা করেছিল সেখানে ছাত্রদল কিভাবে এত সাহস কোথায় পায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিক একটি বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করি। হল প্রশাসন বরাবর আমরা ৪ দফা দাবি পেশ করি এবং রাত ৯ টা পর্যন্ত আল্টিমেটাম বেঁধে দেই  প্রশাসনের প্রকাশ্য, গুপ্ত, সুপ্ত সকল ধরনের হল রাজনীতির বিরুদ্ধে  প্রশাসনিক নোটিশ দিতে হবে এবং ছাত্রদলের কমিটি বাতিল বলে ঘোষণা করবে।’

তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছরের শোষণ অত্যাচারের অবসান ঘটিয়ে  হলে শান্তির পরিবেশ ফিরে এসেছিল সেখানে এইভাবে হল কমিটি দেওয়ায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাই । আমরা চাইনা হলে আবার গেস্টরুম গণরুম, সিনিয়রদের পা চাটা, দালালি করার কালচার ফিরে আসুক। হলের সেই জাহান্নামে কাটানোর মতো সময়গুলো শিক্ষার্থীদের জীবনে আবার আসুক। একমাত্র হল সংসদে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে হলের সকল কার্যক্রম চলবে।’

এ সময় রোকেয়া হলকে সকল প্রকার ছাত্ররাজনীতি ও গণরুম, গেস্টরুম সংস্কৃতি থেকে মুক্ত করার ৪টি দাবিতে স্মারকলিপি স্বারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হলো- রোকেয়া হলকে প্রকাশ্য ও গুপ্ত-সকল প্রকার ছাত্ররাজনীতি থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত ঘোষণা করতে হবে। নির্বাচিত হল সংসদ কমিটি ব্যতিত কোন রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠন হল ভিত্তিক কমিটি ঘোষণা করলে তাদের আবাসিক সিট বাতিলকরণ করা হবে। ছাত্রদল, বাগছাস, শিবির, ছাত্রীসংস্থা, ছাত্রলীগ (নিষিদ্ধ) সহ অন্যান্য সকল ক্রিয়াশীল সংগঠন গুল্যে কোন রকম গোপন কমিটি দিতে পারবেনা, প্রমাণ সাপেক্ষে তাদের সিটও বাতিল করা সহ যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ১৭ জুলাইয়ের স্মারকলিপিতে স্মারক নাম্বার বসিয়ে আইনী ভিত্তি রচনা করতে হবে এবং প্রভোস্ট, হাউজটিউটর ও কর্মচারী সহ হল কর্তৃপক্ষ কোন নির্দিষ্ট রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের মেয়েদের সহযোগিতা করার প্রমাণ পাওয়া গেলে শিক্ষার্থীর তাদেরকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করবে। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের পাশে থাকবে।