০৫ আগস্ট ২০২৫, ১৮:৩৮

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে রাবি শিবিরের বিজয় মিছিল

বিনোদপুর থেকে এই মিছিল শুরু হয়ে তালইমারিতে শেষ হয়  © টিডিসি

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ‘জুলাই জাগরণ নব উদ্যমে বিনির্মাণ’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে বিজয় মিছিল করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকেল চারটায় বিনোদপুর থেকে এই মিছিল শুরু হয়ে তালইমারিতে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ করে তারা।

এ সময় শিবির নেতাকর্মীদের ‘নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবার’; ‘ইসলামী ছাত্রশিবির, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’; ‘ক্ষমতা না জনতা জনতা জনতা’; ‘দালালি না আজাদি আজাদি আজাদি’; ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।

রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ‘গত বছর এই ৫ আগস্টে আমাদের রাজশাহী মহানগর ছাত্রশিবিরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল মিছিলের সামনে থেকে ছাত্রজনতাকে রক্ষা করার জন্য। একইভাবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল মিছিলের পেছন থেকে যদি কেউ আক্রমণ করে, তা যেন ছাত্রজনতার গায়ে লাগার আগেই আমাদের গায়ে লাগে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সেই দায়িত্ব পালন করেছি আর তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ হলো আমাদের ভাই শহীদ আলী রায়হান। ছাত্র-জনতার গায়ে গুলি লাগার আগে তার কপালেই গুলি লেগেছে। তবে তোমরা বলো, আন্দোলনে ছাত্রশিবিরের কোনো ভূমিকা ছিল না। ভাইয়েরা, আমরা তোমাদের বিরোধী নই। আমরা একই সঙ্গে আন্দোলন করেছি। কিন্তু যদি তোমরা আমাদের এই ভূমিকাকে অস্বীকার করো, তাহলে আমরা স্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই, আমাদের আন্দোলনের সবচেয়ে বড় প্রমাণ হচ্ছেন শহীদ আলী রায়হান।’

আরও পড়ুন: পিটার হাসের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক নিয়ে যা বলছে মার্কিন দূতাবাস

এ সময় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় শিক্ষা সম্পাদক মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ‘গত বছর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা চলে যাওয়ার পর যে আবেগ-অনুভূতি নিয়ে স্লোগান দিয়েছিলাম এবং রাস্তায় নেমেছিলাম, এক বছর পরে এসে সেই অনুভূতি আমাদের মাঝে নাই। আমরা একটি বিপ্লবের স্বপ্ন দেখেছিলাম, কিন্তু বছর যেতে না যেতেই সেটাকে গণ-অভ্যুত্থান বলা হচ্ছে। সেটাকে আমরা বিপ্লবে পরিণত করতে ব্যর্থ হয়েছি। যেসব দালালের কারণে বিপ্লব ব্যর্থ হয়েছে, আমরা তাদের কখনোই ভুলে যাব না। ফ্যাসিস্ট আমলে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল, এক বছর পেরিয়ে গেলেও তা এখনো সংশোধন করা হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতে চাই এক বছর পেরিয়ে গেলেও জুলাই অভ্যুত্থানের কোনো বিষয়কে কেন এখনো পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি? শহীদ আলী রায়হান, মুগ্ধ, আবু সাঈদ ভাইসহ এসব শহীদের কাহিনিগুলোও এখনো পাঠ্যবইয়ে লিপিবদ্ধ করা হয়নি।’