‘পর্দা করা মেয়েরা ডাকসু নিয়ে কথা বললেই ছাত্রীসংস্থা ট্যাগ দেওয়া হচ্ছে’
পর্দা করা মেয়েরা ডাকসু নিয়ে কথা বললেই ছাত্রীসংস্থা ট্যাগ দেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্রসংসদ আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জামালুদ্দীন মুহাম্মাদ খালিদ। আজ মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজ আইডিতে দেওয়া পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে জামালুদ্দীন মুহাম্মাদ খালিদ বলেন, ‘বোরকা বা হিজাব শুধু ছাত্রীসংস্থার মেয়েরা পরে না। আর ছাত্রীসংস্থার সদস্যদের হিজাব পরার একটা আলাদা ধাঁচ আছে। বরং তাদের চেয়ে আরও কঠোরভাবে পর্দা করে, এমন মেয়েদের সংখ্যাই হলে বেশি। ইদানিং পর্দা করা কোনো মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নিয়ে কথা বললেই তাকে ছাত্রীসংস্থার ট্যাগ দেওয়া বা সন্দেহ করার যে প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, এটা নিন্দনীয়।’
তিনি বলেন, ‘এগুলোর বিরুদ্ধেই কিন্তু লড়াই করে আসছি আমরা। আপনারা এভাবে আদারিং শুরু করলে পর্দানশীন মেয়েরা আরও বেশি সংস্থার প্রতি ঝুঁকবে। কারণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব মেয়েরা পর্দা করে চলে, তারা বিশাল বড় একটা কালচারাল স্টাবলিশমেন্টের সাথে লড়াই করে প্রতিনিয়ত। ফলে তাদের আশ্রয়ের জায়গা কম।
আর আরেকটা বিষয় আপনারা কেন বুঝেন না? গুপ্ত পরিচয়ে কেউ একজন যত বড় নেতাই হয়ে যাক না কেন, তার দলীয় রাজনীতি কিন্তু এক তিলও হয় না এটা দিয়ে। তার আজীবন পরিচয় সংকট নিয়েই চলতে হয়। ফলে প্যারা নেওয়ার তো কিছু নেই। তবে শিবির-সংস্থারও এই অবস্থা থেকে বের হয়ে আসার রাস্তা খোঁজা উচিত। এটা রাজনীতিতে অনাস্থা তৈরি করছে বাজেভাবে।’