২৮ জুলাই ২০২৫, ১৭:৪২

আমার শিবির সম্পৃক্ততা মাহফুজ-আসিফরা ২০১৭ থেকেই জানে, তারা ঢাবি শিবির সভাপতির কাছে এসেছিল, সাদিক কায়েম নয়

সাদিক কায়েম  © সংগৃহীত

জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কারী ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম বলেছেন, আন্দোলনে যারা ছিল নাহিদ আসিফ মাহফুজ সবাই আমাদের পরিচয় জানত। ২০১৭ সাল থেকে আমি শিবির করি সেটা সবাই জানত। শিবিরের আমি ঢাবি শাখার সভাপতি সেটা জেনে তারা আমার কাছে এসেছে। তারা ব্যক্তি সাদিক কায়েমের কাছে আসেনি। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ৫ জুন নাহিদ আসিফ মাহফুজ ওরা আমাকে ফোন করেছে আন্দোলনের বিষয়ে কি করা যায়। আমরা যেভাবে ডিরেকশন দিয়েছি সেই কো-অর্ডিনেশনের মাধ্যমে কাজগুলো হয়েছে। তারা ব্যক্তি সাদিক কায়েমের কাছে আসেনি। তারা ঢাবি শাখা শিবিরের সভাপতির কাছে এসেছিল। 

ঢাবির শিবিরের এ সাবেক সভাপতি বলেন, এটা আপনাকে বলে রাখি যখন ছাত্র অধিকার পরিষদ হলো এরপরে ছাত্র অধিকার পরিষদের বিলুপ্তি। যখন ক্যাম্পাসে কিছু নেই ছাত্রশক্তি গঠন প্রক্রিয়া। এ গঠন প্রক্রিয়ার সাথে আমরা সরাসরি যুক্ত ছিলাম। এবং এটা নিয়ে দফায় দফায় আমাদের মিটিং হয়েছে। 

সাদিক কায়েম বলেন, ছাত্রশক্তির প্রথম প্রোগামে যেদিন হামলা হলো আসিফ মাহমুদ আজকের যে উপদেষ্টা ওনাকে আমি চাঙ্কারপুল থেকে বাইকে করে তাকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে আকতারে কাছে নিয়ে যাই। তখন সে হাসপাতালে ভর্তি ছিল। এবং সেখানে গিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। সামগ্রিক খোঁজখবর নেওয়া এ কাজগুলো আমরা করেছি। 

তিনি আরো বলেন, ২০১৭ সাল থেকে লম্বা সময় ধরে যখন আমার যে পদ ছিল সেগুলো সবাই তারা জানত। পরিচয় জেনে কো-অর্ডিনেশন করে আমরা সবাই মিলে একসাথে কাজ করেছি। সুতরাং এখানে পরিচয় গোপন করার কিছু নেই। ওইসময়ে পরিচয় ঘোষণা দিয়ে কাজ করার মত পরিস্থিতি ছিল না যে কারণে শিক্ষার্থীদের সকল দাবির সাথে ছিলাম কিন্তু ঘোষণা দিয়ে কাজ করার মতো অবস্থা ছিল না। কারণ আমাদের মেরে ফেলা বৈধ ছিল।

প্রসঙ্গত, সাদিক কায়েম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি খাগড়াছড়ি শহরের বাজার এলাকায়। তার বাবা জেলা শহরের একজন কাপড় ব্যবসায়ী। তার ছোট ভাইও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে জানা গেছে। তিনি খাগড়াছড়ি বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া আদর্শ মাদ্রাসা থেকে দাখিল এবং পরবর্তীতে চট্টগ্রামের বায়তুশ শরফ থেকে আলিম পাস করেন। এরপর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে।