বাজেটে হাসিনার মডেলে দুর্নীতিকে উৎসাহিত করা হয়েছে: ছাত্র মৈত্রী
গত সোমবার ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের জন্য অন্তর্বতীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ প্রায় ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার জাতীয় বাজেট প্রস্তাব করেছেন। যেখানে শিক্ষার দুই মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৯৫ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকা, যা জাতীয় বাজেটের ১২ দশমিক ১ শতাংশ। অন্যদিকে স্বাস্থ্য খাতের দুই মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪১ হাজার ৯০৮ কোটি টাকা, যা জাতীয় বাজেটের ৫ দশমিক ৩ শতাংশ।
বাম ছাত্র সংগঠন বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী বলছে, এই বাজেটে শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যখাতের মতো জনগণের জীবনের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত দুটি খাত উপেক্ষিত হয়েছে। এছাড়া, এর মাধ্যমে কালো টাকা সাদাকরণের যে সুযোগ রাখা হয়েছে তা মূলত দুর্নীতিকে উৎসাহিত করার হাসিনা মডেলেরই ধারাবাহিকতা মাত্র।
আজ মঙ্গলবার (৩ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি দিলীপ রায় এবং সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ জুবেল বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের এই বাজেটে উপেক্ষিত হয়েছে শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যখাতের মতো জনগণের জীবনের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত দুটি খাত। অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে এই বাজেট জনগণের আকাঙ্খাকে ধারণ করেনি, শিক্ষাখাতে জাতীয় বাজেটের ২০-২৫% বরাদ্দ রাখার দীর্ঘদিনের দাবির পরেও অভ্যুত্থান পরবর্তী সরকার তা বাস্তবায়ন করেনি। স্বাস্থ্যখাতকে বরাবরের মতো অবহেলা করে জাতীয় বাজেটের ১৫% দাবির জায়গায় ৫% রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ছাত্র ফেডারেশনকে লিগ্যাল নোটিশ দিল ছাত্রশিবির
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে বেসরকারিকরণ ও বাণিজ্যিকীকরণের যে রাষ্ট্রীয় দৃষ্টিভঙ্গি তারই প্রতিফলন হয়েছে এই জাতীয় বাজেটে। এই রাষ্ট্র জনগণের শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবার দায়িত্ব গ্রহণ করতে চায় না বলেই বরাবরের মতোই অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়েও এই দুটিখাত উপেক্ষিত হয়েছে।
তারা বিবৃতিতে আরও বলেন, এই বাজেটে কালো টাকা সাদাকরণের যে সুযোগ রাখা হয়েছে তা মূলত দুর্নীতিকে উৎসাহিত করার হাসিনা মডেলেরই ধারাবাহিকতা মাত্র। বাজেটে কয়েক বছরের তীব্র মূল্যস্ফীতি, বেকারত্ব হ্রাস এবং সার্বিকভাবে জনজীবনে স্বস্তি ফেরানোর কোনো উদ্যোগ নেই।