জামায়াত নেতা এটিএম আজহারকে খালাসের রায়ে হতাশ ছাত্র ইউনিয়ন
মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেখ হাসিনার আমলে করা মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের খালাসের রায়ের সংক্ষিপ্ত আদেশে তাকে অবিলম্বে জেল হেফাজত থেকে মুক্তি দিতে বলা হয়েছে। প্রধান বিচারপতিসহ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির স্বাক্ষরের পর তিন পাতার সংক্ষিপ্ত আদেশও আজ প্রকাশিত হয়েছে। এ টি এম আজহারুল ইসলামের মুক্তির এ রায়ে হতাশা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের একাংশ।
সংগঠনটি বলছে, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর স্থানীয় সহযোগী সংগঠন ছাত্রশিবির (তৎকালীন ছাত্রসংঘ) ও আল-বদর নেতা ছিলেন এটিএম আজহারুল ইসলাম। রংপুর অঞ্চলে গণহত্যা, নির্যাতন ও ধর্ষণের মতো ভয়াবহ অপরাধে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণকারী হিসেবে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে দোষী সাব্যস্ত হয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। কিন্তু আপিল বিভাগ কর্তৃক তার খালাস গভীর হতাশা ও বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থাহীনতা সৃষ্টি করছে।
আজ মঙ্গলবার (২৭ মে) সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মাহির শাহরিয়ার রেজা এবং সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন শুভ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুধু একটি রায় নয়, এটি ইতিহাসের দায় এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে রাষ্ট্রের জবাবদিহিতা, এই রায় শুধু শহীদদের রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা নয়, বরং সামগ্রিকভাবে স্বাধীনতাযুদ্ধের চেতনার উপর এক নির্মম আঘাত। বিচারব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা টিকিয়ে রাখতে হলে এমন রায় পুনঃবিবেচনা আবশ্যক। অবিলম্বে এই খালাসের রায় বাতিল করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা প্রত্যাশা করি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল প্রগতিশীল শক্তি এই রায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবেন এবং শহীদদের রক্তের ঋণ শোধে আরও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হবেন।
আরও পড়ুন: এটিএম আজহারের ফাঁসির রায়ের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে যা বলছে আপিল বিভাগ
তারা আরও বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, এদেশে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হতে হবে নিরপেক্ষ, যথাযথ প্রমাণ ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে। রাজাকারদের রক্ষা নয়, বরং তাদের বিচারই হোক জাতির প্রতি দায়িত্বশীলতার প্রতিফলন।